This Article is From Nov 24, 2019

সুপ্রিম শুনানির আগেই শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ বিজেপি নেতার, নতুন জল্পনা!

Maharashtra: এনসিপি-কংগ্রেস-শিবসেনা জোট ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার পরেই শনিবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার

Maharashtra Government Formation: বিজেপিকে সমর্থন করার বিষয়টি অজিত পাওয়ারের "ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত", শনিবার বলেন শরদ পাওয়ার (ফাইল চিত্র)

মুম্বই:

প্রতি মুহূর্তে যেন এক একটা নাটকীয় মোড় অপেক্ষা করে রয়েছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বর্তমান রাজনৈতিক পটভূমিতে। শনিবার সকালের আড়মোড়া ভাঙার আগেই মহারাষ্ট্রবাসী দেখলেন যে তাঁদের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। যদিও এই সরকার গঠনের (Maharashtra Government Formation) বিরুদ্ধে আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। কিন্তু শীর্ষ আদালতের ওই শুনানির আগেই আরও একটি ঘটনায় নতুন জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। কেননা জানা গেছে যে, সুপ্রিম শুনানির আগেই এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিজেপি নেতা সঞ্জয় কাকাদে ।

যদিও ওই বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিজেপি নেতা কাকাদে বলেন যে তিনি "ব্যক্তিগত কারণে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন", জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। শনিবার বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর পরেই এনসিপির পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে অপসারণ করা হয় অজিত পাওয়ারকে, শরদ পাওয়ারের ভাইপোর স্থলাভিষিক্ত হন জয়ন্ত পাতিল। জানা গেছে, এনসিপি প্রধানের সঙ্গে বিজেপি নেতা সঞ্জয় কাকাদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনিও।

"অ্যাক্সিডেন্টাল শপথগ্রহণ": মহারাষ্ট্র নিয়ে তীর্যক মন্তব্য শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের

সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ শরদ পাওয়ারের সঙ্গে ওই বৈঠক করেন কাকাদে। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, এর আগেই মহারাষ্ট্রে বিজেপির সরকার গঠনের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা, কংগ্রেস এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি।

এনসিপি-কংগ্রেস-শিবসেনা জোট ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার পরেই শনিবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার । যদিও শুক্রবার রাতে শরদ পাওয়ার জোটের পক্ষ থেকে ঘোষণা করেন যে উদ্ধব ঠাকরেই মহারাষ্ট্রের আগামী মুখ্যমন্ত্রী হবেন।

অজিত পাওয়ারের বিজেপির পাশে থাকার বিষয়টিকে সমর্থন করেননি কাকা শরদ পাওয়ার। এনসিপি প্রধান বলেন যে বিজেপির পাশে থাকার বিষয়টি পুরোপুরি অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন যে তিনি (অজিত পাওয়ার) শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের পক্ষে দলের বিধায়কদের কাছ থেকে নেওয়া সমর্থনের চিঠির অপব্যবহার করেছেন।  

এনসিপি থেকে বিজেপিতে আসা সঞ্জয় কাকাদেই হলেন প্রথম বিজেপি নেতা, যিনি বিজেপি সরকার গঠনের পর শরদ পাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। বিজেপি নেতা এর আগে দাবি করেন যে তাঁর দলের প্রাক্তন সঙ্গী শিবসেনার ৪৫ জন বিধায়ক নাকি তাঁর দলকে সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

এদিকে আজ (রবিবার), বিজেপিও অজিত পাওয়ারকে এনসিপির পরিষদীয় নেতার পদ থেকে অপসারণের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে একে "অবৈধ" বলে উল্লেখ করেছে। বিজেপির আশিস শেলার সাংবাদিকদের বলেন, "রাজ্যপালকে (শনিবার) বিধায়কদের সমর্থনের চিঠিটি এনসিপির পরিষদীয় দলের নেতা হিসাবে অজিত পাওয়ার দিয়েছেন। অজিত পাওয়ারের পদে জয়ন্ত প্যাটেলকে বসানোর বিষয়টি পুরোপুরি অবৈধ"।

বিজেপি থেকে বাঁচাতে মুম্বইয়ের হোটেলবন্দি কংগ্রেস-এনসিপি-সেনার বিধায়করা!

শনিবার মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতির শাসন বাতিল করার পদক্ষেপকেও বিজেপি ন্যায়সঙ্গত বলে দাবি করেছে। রাষ্ট্রপতির শাসন আরোপ ও প্রত্যাহারের বিষয়টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও বিজেপি বলে যে ১৯৬১ তে হওয়া একটি আইন অনুযায়ীই এটিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই আইনের অধীনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশেষ ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহারের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেন।

গত মাসে হওয়া মহারাষ্ট্র নির্বাচনে ২৮৮ সদস্যের বিধানসভাতে বিজেপি পেয়েছিল ১০৫ টি আসন, তারপরেই ছিল শিবসেনা, যারা ৫৬ টি আসনে জিতেছিল, এনসিপি জয় পায় ৫৪ টি আসনে এবং কংগ্রেস জেতে ৪৪ আসনে । একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি শিবসেনার সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে পারেনি কেননা তার আগেই "৫০:৫০ শক্তি ভাগাভাগি" চুক্তিতে মতভেদ হওয়ায় ওই জোট ভেঙে যায়।
 

.