কলকাতা: নজরকাড়া উত্থান। ৪২টির মধ্যে জয় ১৮টিতে। পাঁচ বছর আগে যা ছিল মাত্র ২। বাংলায় বিজেপির (BJP) সাফল্য এখন গোটা দেশের কাছে উদাহরণ। মোদি-শাহ জুটির থেকেও মিলেছে প্রশংসা। উজ্জীবিত গেরুয়া শিবিরের বাংলার নেতৃত্ব। ভোটের পর মুরলীধর সেন লেনে নিয়ম করে লাইন পড়ছিল অন্য দল ছেড়ে পদ্ম পতাকা হাতে তুলতে। বাড়ছিল ২১শের বাংলা দখলের স্বপ্ন। কিন্তু, বেশ কয়েকটি পুরসভার রং বদলের উদ্যোগ থাকলেও পরে জোড়াফুল শিবিরের কাছেই থেকে যায়। ঘটা করে দিল্লিতে গিয়েও সব বিফলে যায়। তাই সাফল্যের পাশাপাশি গত দু-আড়াই মাসে কাঁটাও বিঁধেছে পদ্মে। বাংলায় বিজেপির (BJP) নানা কর্মসূচির রূপরেখা কি হবে? যা পর্যালোচনাতেই শনিবার থেকে গেরুয়া শিবিরের দু'দিন ব্যাপী কর্মসূচি শুরু হচ্ছে শিল্প শহর দুর্গাপুরে।
২১শের বাংলা পাখির চোখ বিজেপির (BJP)। লোকসভায় দলের সাফল্য তারই সোপান রচনা করেছে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা ২০ থেকে ২১ মাস। ঘর গুছনোর সেরা সময়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য নেতাদের আন্দোলনের রোড ম্যাপ থেকে সংগঠন বিস্তারের খুঁটিনাটি বাতলাতেই চিন্তন বৈঠকের (Chintan Baithak) আয়োজন। শনিবার থেকে শুরু হতে চলা বৈঠকে থাকবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, দলের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেনন, দিলীপ ঘোষরা থাকবেন।
সাফল্য শেষে ভাবা হয়েছিল এরাজ্যে প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে বিজেপির (BJP) সদস্য করা যাবে। কিন্তু, লক্ষ্যপূরণ সম্ভব নয় বলেই মনে হচ্ছে। দিন কয়েক বাকি থাকলেও সদস্য অভিযানে গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে ৬০ লক্ষ ভোটার। কেন মানুষকে বোঝানো গেল না? তা খতিয়ে দেখা হবে বৈঠকে।
রাজ্যের তৃণমূল পরিচালিত ছয় পুরসভা গেরুয়া হবে। ঘটা করে বলেওছিল বিজেপি (BJP)। কিন্তু, মুখ পুড়েছে তাতে। মণিরুলদের নেওয়াতেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তাই অন্য দল ছেড়ে বিজেপিতে আগতদের কোন শর্তে দলে নেওয়া হবে? তা যাচাই করতে গঠন করা হয়েছে কমিটি। এতদিন সেই কমিটিই বা কি কাজ করল? তারও হিসাব মিলতে পারে এই বৈঠক থেকে।
সাফল্যের উদযাপনের পালা শেষ। এবার কড়া হাতে বাংলার সংগঠন ধরতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পরিকল্পিতভাবে ঘর গুছোনোই লক্ষ্য গেরুয়া শিবিরের।