Coronavirus: কণিকা কাপুরের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ও আমলারা।
হাইলাইটস
- করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে গায়িকা কণিকা কাপুরের শরীরে
- কণিকা কাপুরের সংস্পর্শে আসায় তিন রাজনীতিবিদ আইসোলেশনে
- কণিকা টুইট করে নিজের আক্রান্ত হওয়ার খবর দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়
নয়াদিল্লি: গায়িকা কণিকা কাপুর (Kanika Kapoor) সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর শরীরে ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ। আর তারপরই তৎপর হয়ে উঠেছেন বিজেপির বসুন্ধরা রাজে (Vasundhara Raje) ও তাঁর পুত্র সাংসদ দুষ্মন্ত সিংহর মতো রাজনীতিবিদরা। তাঁরা সকলেই লখনউয়ে এক নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন কণিকার সঙ্গে। বসুন্ধরা রাজে টুইট করে একথা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘লখনউয়ে থাকাকালীন আমি একটি নৈশভোজে অংশ নিই আমার ছেলে দুষ্মন্ত ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে। কণিকা দুর্ভাগ্যজনক ভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। ও একজন অতিথি ছিল। সাবধানতা অবলম্বন করতে আমার ছেলে ও আমি তৎক্ষণাৎ নিজেদের কোয়ারান্টাইন করে রাখি। এবং আমরা অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছি।''
Coronavirus: ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মুম্বইয়ের সমস্ত অফিস
পার্টির পরে সংসদেও যান দুষ্মন্ত। এরপর ক্ষুব্ধ ডেরেক ও'ব্রায়েন টুইট করে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি আগেই করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সংসদ লকডাউন করার আর্জি জানিয়েছিলেন। তিনি নিজে কোয়ারান্টাইনে চলে যান।
ডেরেক টুইট করে লেখেন, ‘‘সরকার আমাদের সব রকম ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ঘরবন্দি করার আর্জি জানিয়েছেন। অথচ সংসদ চলছে। আমি অন্যদিন আড়াই ঘণ্টা দুষ্মন্তর পাশেই বসেছিলাম। আরও দুই সাংসদ আইসোলেশনে চলে গিয়েছেন। অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হোক।''
দীর্ঘ ৭ বছর পর ফাঁসিতে ঝোলানো হল নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ আসামিকে
৪১ বছরের কণিকা কাপুর সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টকে অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তিনি ওই পার্টি আয়োজন করেননি। কিন্তু তিনি লখনউয়ে এক জমায়েতে ছিলেন, যেখানে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা ছিলেন। সেখানে ছিলেন মন্ত্রী ও আমলারা। কোনও কোনও প্রতিবেদনের দাবি, সেখানে প্রায় ২০০ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
কণিকা জানান, মুম্বই বিমানবন্দরে তাঁকে স্ক্রিনিং করা হলেও তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনও চিহ্ন ধরা পড়েনি।কণিকা ইনস্টাগ্রামে মেসেজ করে জানিয়েছেন, তিনি লখনউয়ে কিং জর্জেস মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসোলেশনে গিয়েছেন। তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর কণিকার বাবা-মা'কেও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
গায়িকা পোস্টে লেখেন, গত চার দিন ধরে তাঁর শরীরে ফ্লুয়ের লক্ষণ দেখা যাওয়ার পর তিনি পরীক্ষা করান এবং তখন তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁর পরিবার এবং তিনি এখন কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কণিকা। তিনি আরও জানান, বিমানবন্দরে ধরা না পড়লেও মাত্র চার দিন আগে তাঁর শরীরে রোগের লক্ষণ ফুটে উঠতে থাকে।