নিউ দিল্লি: ব্ল্যাকহোলের ছবি পাওয়া নিঃসন্দেহে এই যুগের অন্যতম সেরা মহাজাগতিক আবিষ্কারই বলা চলে। কিন্তু এই আবিষ্কারের নেপথ্যে রয়েছেন কোন বিজ্ঞানী? ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি)স্নাতক কেটি বাউম্যান (Katie Bouman) এই অতিপ্রাকৃত ব্ল্যাকহোলের প্রথম ছবি (first-ever photo of a supermassive black hole) প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই প্রায় সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছেন। কেটি বাউম্যান বিজ্ঞানীদের সেই দলের অন্যতম মুখ যারা ব্ল্যাকহোলের চিত্র সৃষ্টি করেছেন। কেটি ফেসবুকে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “কৃষ্ণ গহ্বরের যে ছবিটি আমি তৈরি করেছি তার পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ার দিকে অবিশ্বাস্যভাবে তাকিয়ে রয়েছি।"
কেমন দেখতে সর্বগ্রাসী কৃষ্ণ গহ্বর? প্রকাশ পেল মহাজাগতিক বিস্ময়ের প্রথম ছবি!
কেটি বাউম্যানের কৃতিত্ব বর্ণনা করেছে তাঁর কলেজও। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “তিন বছর আগে, এমআইটি স্নাতক ছাত্রী কেটি বাউম্যান কৃষ্ণ গহ্বরের প্রথম চিত্রটি তৈরি করার জন্য একটি নতুন অ্যালগরিদম তৈরির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।"
অনলাইনে সারা বিশ্বের মানুষ, কেটিকে অভনন্দন জানানোর পাশাপাশি বিজ্ঞান ক্ষেত্রে আরও মহিলাদের অংশগ্রহণের জন্য সোচ্চার হয়েছে।
নিজে হাতে গড়া বিমান ওড়াতে চেয়ে প্রশাসনের দরজায় স্কুলছুট পাক পপকর্ন বিক্রেতা!
একজন লিখেছেন, “কেটি বাউম্যানকে অভিনন্দন জানাই। ওর জন্যই ব্ল্যাকহোলের প্রথম ছবি দেখলাম আমরা। যদিও তাঁর নাম সেভাবে প্রকাশ্যে আসছে না সংবাদ মাধ্যমে। বিস্ময়কর কাজ। এবং বিজ্ঞানের আরও মহিলাদের যাত্রা বর্ধিত হোক।”
জাতিসংঘের মহিলারা কেটি বাউম্যানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং লিখেছেন, “কেটির মতো আমাদের আরো #WomenInScience দরকার।"
ব্ল্যাকহোলের মহাজাগতিক চিত্রটি মেসিয়ার 87 এর কেন্দ্রস্থলের ব্ল্যাক হোলের অন্তর্গত, এটি এখনও পর্যন্ত আমাদের জানা বৃহত্তম গ্যালাক্সি, যা প্রায় ৫৪ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ হল পৃথিবী জুড়ে ১০ টি রেডিও টেলিস্কোপের একটি নেটওয়ার্ক এবং এটি একটি একক রিসিভার হিসাবে কাজ করে যা উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও তরঙ্গগুলিকে চিত্রিত করেছে।
চিত্রটিতে কৃষ্ণ গহ্বরের চারপাশে আলো এবং অন্ধকারের সীমান্ত দেখা যাচ্ছে। যাকে বলে ইভেন্ট হরাইজন। এটি হল পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন অর্থাৎ, যেখানে ব্ল্যাক হোলের মাধ্যাকর্ষণ এতই চরম হয়ে যায় যে, প্রবেশ করে গিয়েছে এমন কোনও কিছুই আর ফিরে আসতে পারে না। ব্ল্যাক হোলের কেন্দ্রস্থলে, সময় ও স্থান নিজেদের মধ্যেই এত বক্র হয়ে যায় যে পদার্থবিজ্ঞানের কোনও নিয়ম কানুন দেখানে খাটে না।