‘‘হেলিকপ্টারে করে ওই এলাকা থেকে দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হবে।
হাইলাইটস
- এএন-৩২-র ধ্বংসাবশেষ থেকে ১৩ জন যাত্রীর দেহ উদ্ধার হল আজ।
- গতকাল আইএএফ হেলিকপ্টার খুঁজে পেয়েছিল বিমানটির ধ্বংসাবশেষ।
- ব্ল্যাক বক্স থেকে বায়ুসেনার পক্ষে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।
নয়াদিল্লি: অরুণাচলপ্রদেশের (Arunachal Pradesh) ভেঙে পড়া এএন-৩২ (An-32) বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১৩ জন যাত্রীর দেহ উদ্ধার হল আজ, বৃহস্পতিবার। গতকাল আইএএফ (IAF) হেলিকপ্টার খুঁজে পেয়েছিল বিমানটির (An-32) ধ্বংসাবশেষ। বিমানটির ব্ল্যাক বক্সটিও পাওয়া গিয়েছে। আজ সকালেই বায়ুসেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই দুর্ঘটনায় কেউই বেঁচে নেই। পর্বতারোহী ও বিশেষ বাহিনীর ১৫ সদস্যের উদ্ধারকারী দল পর্বত বেষ্টিত ঘন অরণ্যে ঢাকা দুর্ঘটনাস্থল থেকে দেহগুলি উদ্ধার করে। আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়, ‘‘হেলিকপ্টারে করে ওই এলাকা থেকে দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হবে।'' ভারতীয় বায়ুসেনার ১৩ জন কর্মীকে সনাক্ত করা হয়েছে। মৃত কর্মীরা হলেন উইং কমান্ডার জেএম চার্লস, স্কোয়াড্রন লিডার এইচ বিনোদ, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট আর থাপা, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এস মহান্তি, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এমকে গর্গ, ওয়ারেন্ট অফিসার কেকে মিশ্র, সার্জেন্ট অনুপ কুমার এস, কর্পোরাল শারিন এনকে, লিডিং এয়ারক্র্যাফ্টসম্যান এসকে সিংহ, লিডিং এয়ারক্র্যাফ্টসম্যান পঙ্কজ, নন-কমব্যাট্যান্ট এমপ্লয়ি পুতালি এবং নন-কমব্যাট্যান্ট এমপ্লয়ি রাজেশ কুমার।
ওমান উপসাগরে দু'টি তেলের ট্যাঙ্কারের ‘হামলা', প্রাণ বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দিল নাবিকরা
গত এক সপ্তাহ ধরে অসমের জোড়হাট বেস ক্যাম্পে ওই ১৩ জন কর্মীর আত্মীয়রা অপেক্ষা করছিলেন।
বিমান থেকে প্রাপ্ত ব্ল্যাক বক্স, যেখানে ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ও ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার রয়েছে, সেটি উদ্ধার করা গিয়েছে। ওই ব্ল্যাক বক্স থেকে বায়ুসেনার পক্ষে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।
রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে, চিকিৎসকদের ধর্মঘটে প্ররোচনা দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি: মমতা
গত ৩ জুন বেলা ১টা থেকে সোভিয়েতের তৈরি দু'ইঞ্জিন বিশিষ্ট ওই বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যায়। অসমের জোড়হাট থেকে অরুণাচলপ্রদেশের মেছুকায় যাচ্ছিল বিমানটি। ৫০ মিনিট সাকুল্যে লাগার কথা।
মঙ্গলবার ধ্বংসাবশেষ পাহাড়ের আড়ালে পাওয়া যায়। ১২,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে সেটিকে দেখতে পাওয়া যায়। খারাপ আবহাওয়া ও মেঘের আড়ালে দৃশ্যমানতার অভাবেই সম্ভবত দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।