This Article is From Mar 25, 2019

দেশে ফেরার কথা ছিল এবছরই, মরদেহ ফিরল ক্রাইস্টচার্চে গুলিতে নিহত ছাত্রীর

আলিবাভা ও তাঁর স্বামী নাজারের সঙ্গেই একটি সুপারমার্কেটে আংশিক সময়ের কাজ করেতেন। দুই বছর আগেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। ১৫ মার্চ, তাঁরা আল নূর মসজিদে গিয়ে পুরুষ ও নারী বিভাগে আলাদাভাবেই বসেছিল। 

দেশে ফেরার কথা ছিল এবছরই, মরদেহ ফিরল ক্রাইস্টচার্চে গুলিতে নিহত ছাত্রীর

আনসি আলিবাভার (Ansi Alibava) দেহ কোচিতে ফেরানো হল তাঁর পরিবারের হাতে

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদের হামলায় নিহত কেরলের একজন ছাত্রীর মৃতদেহ আজকে কোচিতে তাঁর শোকগ্রস্ত পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২৫ বছরের আনসি আলিবাভা ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ওই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে নিহত পাঁচ ভারতীয়ের অন্যতম। সোমবার সকালেই কোচি বিমানবন্দরে তাঁর মরদেহ নামে। কোডুঙ্গালুরে তাঁদের নিজের শহরেই স্নাতকোত্তর পাঠরতা এই ছাত্রীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে তাঁর পরিবার।

আনসি আলিবাভা তাঁর স্বামী আবদুল নাজারের সঙ্গেই ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে প্রার্থনা করছিলেন। যেখানেই গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ৪৩ জনকে। অন্য আরেকটি মসজিদে আরও সাতজনকে হত্যা করা হয়। নিউজিল্যান্ডে ঘটা সবচেয়ে খারাপ হিংসার নজির ছিল এই ঘটনাটি। কিছু কিছু পরিবার ক্রাইস্টচার্চেই আত্মীয়দের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 ‘বন্দুকবাজের হানা'র আতঙ্কে ছোটাছুটি, ডিজনিল্যান্ডে পদপিষ্ট বহু

কেরলের কোডুঙ্গালুরের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আলিবাভা। পাঁচ বছর আগে সৌদি আরবে কাজ করার সময় তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারকে আর্থিক সমর্থন জোগাতে কাজ করতে শুরু করেছিলেন তিনি। ক্রাইস্টচার্চের লিঙ্কন ইউনিভার্সিটির ব্যবসায়িক কৃষি বিষয়ে গবেষণা করার জন্য হাজার হাজার ডলার ঋণ নিয়েছিলেন। আনসি আলিবাভার খুড়তুতো ভাই পি এইচ নিয়াস, এএফপিকে বলেন, শিগগিরই তাঁর পড়াশুনা শেষ করতে চলেছিলেন। নিয়াস বলেন, “গত বছর তিনি ওখানে গিয়েছিলেন, এপ্রিলের তাঁর পড়াশোনা শেষ হওয়া ছিল। তারপর ছয় মাসের প্রশিক্ষণমূলক কোর্স করে ডিসেম্বরে তাঁর দেশের ফেরার কথা।”

আলিবাভা ও তাঁর স্বামী নাজারের সঙ্গেই একটি সুপারমার্কেটে আংশিক সময়ের কাজ করেতেন। দুই বছর আগেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। ১৫ মার্চ, তাঁরা আল নূর মসজিদে গিয়ে পুরুষ ও নারী বিভাগে আলাদাভাবেই বসেছিল। 

আইসিইউতে ভর্তি রোগিনীকে গণধর্ষণ! অভিযুক্ত হাসপাতালের চার আইসিইউ কর্মী

গুলি চলার সময় আবদুল নাজার একটি জরুরি প্রস্থানের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন, তবে পারেন নি তাঁর স্ত্রী। ইন্ডিয়ান মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, যখন তিনি স্ত্রীকে খুঁজতে ফিরে আসেন, নাজার দেখেন নিথর দেহে মুঝ থুবড়ে পড়ে আছেন তাঁর স্ত্রী। গণহত্যার ২৪ ঘণ্টা পর তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল।

আরেকটি ভারতীয় পরিবার যারা আত্মীয় স্বজনকে হারিয়েছেন এই হত্যাকাণ্ডে, তাঁরা ক্রাইস্টচার্চে কবর দেওয়ার কথা ভেবেছেন। বাবা আসিফ ভোরা ও পুত্র রামেজ ভোরা গুজরাট থেকে নিউজল্যান্ডে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই প্রাণ হারান তাঁরা। তাঁরা ওই শহরেই তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করবেন বলে জানিয়েছেন। গুজরাটের বাসিন্দা আরেক নিহত মেহবুব খোখারের দেহাবশেষ এই সপ্তাহেই ভারতে ফেরার কথা ছিল বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.