Read in English
This Article is From May 11, 2020

বয়েজ লকার রুম ইনস্টা-গ্রুপে "গ্যাং রেপ" নিয়ে মন্তব্য করেছে ছেলের পরিচয়ে ১টি মেয়েই!

Bois Locker Room: পুলিশ বলছে, ছাত্রদের প্রতিক্রিয়া যাচাই করার জন্য একটি মেয়েই নাকি ছেলে সেজে ওই ধরণের অশ্লীল মন্তব্য করে এবং কুরুচিকর প্রস্তাব দেয়

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Delhi Police: যে ছেলেটি ও মেয়েটির সঙ্গে গণধর্ষণ নিয়ে কথা হয় তাঁরা সরাসরি "বয়েজ লকার রুম" গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত নয় (প্রতীকী চিত্র)

Highlights

  • দিল্লির স্কুলের ছেলেদের ইনস্টাগ্রুপ "বয়েজ লকার রুম"
  • সেই গ্রুপে আলোচনা হয়েছে মেয়েদের গণধর্ষণ করা নিয়ে, যা নিয়ে বির্তক ছড়ায়
  • তদন্তে প্রকাশ, ছেলেদের মনোভাব বুঝতে আসলে একটি মেয়েই ওই প্রস্তাব দেয়
নয়া দিল্লি:

গত সপ্তাহে ইনস্টাগ্রামের "বয়েজ লকার রুম"-এর কথোপকথন ঝড় তুলে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই গ্রুপের (Bois Locker Room) সদস্যরা দিল্লির বিভিন্ন স্কুলের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র, যাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তু নাকি নিজেদের সহপাঠিনীদের কী ভাবে গণধর্ষণ করবে ও অন্যান্য অশ্লীল বিষয়! সেই গ্রুপেরই কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশট টুইটারে ফাঁস করে দেয় এক ছাত্রী, আর তার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। কিন্তু বিষয়টির তদন্তে নেমে ঘটনার এক নয়া মোড় খুঁজে পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাঁরা (Delhi Police) জানাচ্ছে,  ইনস্টাগ্রাম গ্রুপের কথোপকথনে "গণধর্ষণ" সম্পর্কে মন্তব্যটি নাকি মোটেই ওই চ্যাটরুমে করা হয়নি। পুলিশ বলছে, ছাত্রদের প্রতিক্রিয়া যাচাই করার জন্য একটি মেয়েই নাকি ছেলে সেজে ওই মন্তব্য করেছে। তদন্তে প্রকাশ, যে মেয়েটি ওই কাজ করেছে সে আসলে "বয়েস লকার রুম" এর সদস্যই নয়, সে ওই গ্রুপেরই অন্য একটি ছেলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে এবং তারপরই সেই স্ন্যাপচ্যাট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেয়।

মেয়েদের ধর্ষণ করা নিয়ে ইনস্টায় রগরগে আলোচনা করে পুলিশি হেফাজতে ছাত্র

"ওই স্ন্যাপচ্যাটের কথোপকথনটি আসলে একটি মেয়ে (প্রেরক) এবং একটি ছেলে (প্রাপক) এর মধ্যে হয়, কিন্তু সেখানে মেয়েটি নিজেকে 'সিদ্ধার্থ' নামে পরিচয় দিয়ে একটি কাল্পনিক ছেলের বেশে ওই কথোপকথন চালায়।

Advertisement

যদিও পুলিশ জানিয়েছে যে ওই মেয়েটি বা ছেলেটির বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা হচ্ছে না। "যদিও, ভুুয়ো আইডি তৈরি করা একেবারেই ঠিক নয়, কিন্তু যেহেতু মেয়েটির উদ্দেশ্য আসলে অসৎ ছিল না তাই আমরা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করছি না", সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান এক পুলিশ কর্তা।

"একজন পুরুষের ভুয়ো পরিচয়ে মেয়েটি সোশ্যাল আড্ডায় ওই যৌন নির্যাতনের পরিকল্পনার পরামর্শ দেয়। আসলে মেয়েটির উদ্দেশ্য ছিল ছেলেটির মানসিকতা এবং তাঁর চরিত্রের পরীক্ষা নেওয়া। সেই জন্যেই ছেলেটিকে অমন একটি কুকীর্তির প্রস্তাব দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছিল মেয়েটি", বলেন দিল্লির প্রবীণ পুলিশকর্তা অনীশ রায়।

Advertisement

বয়েজ লকার রুম-কাণ্ডে ধৃত গ্রুপ অ্যাডমিন দ্বাদশের পড়ুয়া, সন্দেহভাজন আরও ১৫

কিন্তু যে ছেলেটিকে ওই মেয়েটি ভুয়ো পরিচয়ে এসব পাঠিয়েছিল সে এই ধরণের কথাবার্তায় বিরক্ত হয়ে স্ন্যাপচ্যাটে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তারপরেই ওই মেয়েটি ছেলেটি যে বন্ধুদের সঙ্গে যৌন নির্যাতন নিয়ে কথা বলেছে তা প্রমাণ করতে ওই স্ক্রিনশটটি শেয়ার করে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর ওই স্ক্রিনশট প্রকাশের পরেই দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশ।

Advertisement