Bois Locker Room: ছাত্রীদের ধর্ষণ ও নানা রকম যৌন হেনস্থা করা নিয়ে ছাত্ররা ইনস্টাগ্রাম গ্রুপ চ্যাটে আলোচনা করেছিল
হাইলাইটস
- দিল্লির একটি সুপরিচিত স্কুলের ছাত্রকে যৌন আলোচনার জন্যে হেফাজতে নিল পুলিশ
- একটি ইনস্টাগ্রাম গ্রুপে ওই ছাত্রটি এবং আরও ২০ জন মিলে বিকৃত আলোচনা করছিল
- গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল
নয়া দিল্লি: করোনা পরিস্থিতি নিয়েই যখন সবাই ব্যস্ত রয়েছে ঠিক সেই সময়ে নতুন করে মাথাব্যথা বাড়াল দেশের নতুন প্রজন্ম। রাজধানী দিল্লিতে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের আলোচনার বিষয় (Social Media) দেখে চোখ কপালে উঠল পুলিশ প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষের। ইনস্টাগ্রাম (Instagram) গ্রুপ চ্যাটে স্কুল ছাত্রীদের ধর্ষণ করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে পুলিশ হেফাজতে যেতে হল দিল্লির এক স্কুলছাত্রকে। দিল্লি পুলিশ যে ইনস্টাগ্রাম গ্রুপ চ্যাটে ওই ছাত্র সহ অন্যান্যরা যৌন বিষয় নিয়ে নানা আলোচনা চালাচ্ছিল তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে। "বয়েস লকার রুম" (Bois Locker Room) নামে পরিচিত ইনস্টাগ্রাম গ্রুপটির আলোচনা প্রকাশ্যে আসার পরেই জনমানসে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তারপরেই এটিকে ডি-অ্যাকটিভেট করে দেওয়া হয়। দিল্লির একটি বিখ্যাত স্কুলের ছাত্র যারা ওই গ্রুপে ওই ধরণের আপত্তিকর আলোচনা চালাচ্ছিল।গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ আরও ২০ জন ছাত্রকে চিহ্নিত করেছে যারা ওই ইনস্টা গ্রুপে সক্রিয় ছিল।
লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় "অ্যাকশন প্ল্যান" তৈরি করছে কেন্দ্র
এদিকে যে স্কুলছাত্রটিকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে, তার মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল ওই মোবাইল ফোন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে। শুধু একটি স্কুলই নয়, জানা যাচ্ছে দক্ষিণ দিল্লির চার-পাঁচটি স্কুলের ছাত্ররা মিলে ওই ধরণের বিকৃত রুচির আলোচনা করছিল।
ওই স্কুলছাত্ররা মেয়েদের ধর্ষণ, আপত্তিকর যে সমস্ত যৌন আলোচনা চালাচ্ছিল ওই ইনস্টা গ্রুপে তা ঘটনাচক্রে কোনওভাবে বাইরে ফাঁস হয়ে যায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই ওই ঘটনার নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেলেন ১৯৫ জন করোনা রোগী, নতুন করে আক্রান্ত ৩,৯০০ জন
দিল্লি পুলিশের সাইবার-ক্রাইম বিভাগ ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামের এই গ্রুপটির সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্যে ইতিমধ্য়েই কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে। তবে স্কুলপড়ুয়াদের এই কেচ্ছার ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেছে তাদের অভিভাবকদের।
রবিবার বেশ কয়েকটি সোশ্যাল সাইট ব্যবহারকারীরা "বয়েস লকার রুম" -এর বেশ কিছু আলোচনার স্ক্রিনশট পোস্ট করে ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে, আর তারপরেই এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে।