সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে স্পষ্টতই দুই ভাগে বিভক্ত বলিউড।
মুম্বই: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল (Piyush Goyal ) ও বিজেপির (BJP) সহসভাপতি জয় পাণ্ডা বেশ কয়েকজন বলিউড তারকাকে মুম্বইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের জন্য আহ্বান করলেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) সঙ্গে জড়িত ‘মিথ ও বাস্তবতা' নিয়ে আলোচনা করার জন্য তাঁদের ডাকা হয়। মুম্বইয়ের গ্র্যান্ড হায়াতের ওই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে, বৈঠকের বিষয় হল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে জড়িত ‘মিথ ও বাস্তবতা'। ওই বৈঠকের শেষে নৈশভোজের আয়োজনের কথাও বলা হয়েছে আমন্ত্রণপত্রে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্লকবাস্টার চিত্র পরিচালক ও এক শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী NDTV-কে জানিয়েছেন, তাঁর ওই বৈঠকের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁরা তাতে অংশ নিচ্ছেন না।
‘‘একটা বিষয় যেটা উদ্বিগ্ন করছে...'': সিএএ প্রসঙ্গে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
ওই বৈঠকে বলিউডের কোন কোন তারকাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তা জানা যায়নি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে স্পষ্টতই দুই ভাগে বিভক্ত ফিল্মি দুনিয়া। বহু অভিনেতা গত মাসে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় সিএএ-র বিরুদ্ধে হওয়া হিংসার পরে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন টুইটারে। সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার ও কঙ্গনা রানাউত। অন্যদিকে অনুরাগ কাশ্যপ, স্বরা ভাস্কর ও সিদ্ধার্থের মতো তারকারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করেছেন এপ্রসঙ্গে। প্রতিবাদ করেছেন রাজকুমার রাও, কঙ্কনা সেনশর্মাও।
এ বিষয়ে কথা বলেছেন হৃতিক রোশন, ফারহান আখতার, পরিণীতি চোপড়া, সঈফ আলি খান, শাবানা আজমিও।
সিএএ'র ধারাভুক্ত নয়, তাই দেশে ফেরত পাঠানো হবে জম্মুর রোহিঙ্গাদের: মন্ত্রী
সিএএ-র প্রতিবাদে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় আয়োজিত জনসভায় অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর জানিয়েছিলেন, ‘‘আমাদের ঘুম দেরিতে ভেঙেছে। কিন্তু এখন আমরা জেগে উঠেছি। তোমরা সারা দেশকে জাগিয়েছ। আমরা তোমাদের ধন্যবাদ জানাই।''
গত মাসেই বিজেপি জানিয়েছিল, তাদের তরফে তিন কোটি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি শতাধিক মিছিলেরও পরিকল্পনা রয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে জনসমর্থন পেতে এই সব পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই পরিকল্পনারই একটি অঙ্গ, বলিউড তারকাদের বৈঠকে ডাকা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ফলে প্রথমবার ভারতের নাগরিকত্বের পরীক্ষায় ধর্মকে আনা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, এই আইন তৈরি হয়েছে, ২০১৫ সালের আগে তিনটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার অমুসলিম সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করার জন্য। সমালোচকদের দাবি, এই আইন তৈরি করা হয়েছে মুসলিমদের সঙ্গে বৈষম্য করার জন্য। এটি সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।