হাইলাইটস
- “আইনের সর্বদা নিজের পথে চলা উচিৎ"; বলেন মুখ্যমন্ত্রী
- মমতা বলেন, “হায়দরাবাদ এবং উন্নাও, দু’টি ঘটনাই লজ্জাজনক"
- মমতা আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে কখনও আপোস করা হবে না
কলকাতা: হায়দরাবাদ হোক বা উন্নাও, দু'টি ঘটনাই ‘লজ্জাজনক' এবং এর মোকাবিলায় কঠোর আইন প্রয়োজন! শুক্রবার এমনটাই দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হায়দরাবাদের ২৭ বছর বয়সী যুবতী পশুচিকিত্সককে গণধর্ষণ এবং পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনকেই শুক্রবার ভোরবেলা একটি এনকাউন্টারে মেরে ফেলে পুলিশ। গণধর্ষণের অভিযুক্তদের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়া মাত্রই এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান সমাজের নানা স্তরের মানুষ। তবে অনেকেই আবার মনে করছেন, এমন এনকাউন্টার আসলে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আইনের সর্বদা নিজের পথে চলা উচিৎ, অন্যরা কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না।” বিজেপির কড়া সমালোচক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে ভয়াবহ ঘটনার কথা। যেখানে ধর্ষিতাকে সাক্ষ দেওয়া থেকে আটকাতে তার নির্যাতনকারীরা তাকে আগুনে পোড়ানোর চেষ্টা করে। ৯০ শতাংশই পুড়ে যান ওই নিগৃহীতা! মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন ওই রাজ্যের সরকার নিগৃহীতার জন্য সুরক্ষার বন্দোবস্তই করেনি।
“এমন এনকাউন্টার আইনি করে দেওয়া উচিৎ” : বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়
“হায়দরাবাদ এবং উন্নাও, দু'টি ঘটনাই লজ্জাজনক। নিগৃহীতাদের কথা ভেবে মন ভেঙে যাচ্ছে। এই জাতীয় অপরাধ মোকাবিলায় আইনকে কঠোর হতেই হবে,” বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “আমরা মহিলাদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধ সহ্য করি না। প্রত্যেকেই উন্নাওয়ের বিষয়টি জানতেন, তবুও ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।”
ঠোক দিয়া, সহি কিয়া: তেলেঙ্গানা এনকাউন্টারে পুলিশের সমর্থনে কুস্তিগীর ববিতা ফোগাত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে কখনও কোনও আপোস করা হবে না। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মমতা বলেন, “পুলিশ, প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ তাদের দায়িত্ব পালন করবে। ১০ দিনের মধ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে ঘটিত অপরাধের প্রতিটি মামলায় চার্জশিট দাখিলের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কাজ না করলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে রাজ্য প্রশাসন। আইনকে জোরদার করতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।” মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান যে, তৃণমূল সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার দশ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছিল।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)