স্কুলের সহপাঠী ছাত্রীদের কীভাবে ধর্ষণ করা যায় তা নিয়ে স্কুল ছাত্রদের ইনস্টাগ্রাম গ্রুপের চ্যাটিং দেশজুড়েই শোরগোল ফেলেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। Boys Locker Room ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার দক্ষিণ দিল্লির কিছু স্কুলের ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং তাদের ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে। বুধবারও চলবে জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই পড়ুয়ারা জানিয়েছে, তাঁদের ওই গ্রুপে যোগ করা হয়েছে এবং তাঁরা এই গ্রুপ সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানেই না। এই গ্রুপের কিছু সদস্য নাবালক সেই বিষয়টিও জানা গিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করাও হয়েছে। পুলিশ ইনস্টাগ্রামের তরফে এখনও কোনও জবাব পায়নি।
এই ছাত্রদের গ্রুপ চ্যাটিংয়ে স্কুলের ছাত্রীদের ধর্ষণ করা এবং তাঁদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার বিষয়ে রীতিমতো বর্ণনা করে আলোচনা করা হয়। দিল্লির এক স্কুলছাত্রকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। Boys Locker Room নামক গ্রুপের চ্যাটের কথা প্রকাশ্যে আসতেই রাগে এবং রোষে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। এই গ্রুপ এখন ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লির এক বিখ্যার স্কুলের ওই ছাত্র গ্রফতার হওয়ার পরে আরও ২০ জন পড়ুয়ার নাম বলেছে যারা এই ঘৃণ্য চ্যাটগ্রুপের নিয়মিত সদস্য। সূত্রের খবর, এর মধ্যে ৪ থেকে ৫ জন ছাত্র দক্ষিণ দিল্লির একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। রবিবার এই বিতর্কিত এবং উদ্বেগজনক খবরটি ছড়িয়ে পড়ে যখন বহু সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘Boys Locker Room'- এর চ্যাটিংয়ের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে পড়ে। এই চ্যাটগুলি দিল্লির কিছু স্কুলছাত্রদের যেখানে বিভিন্ন ছাত্রীদের ছবি তাঁদের অনুমতি ছাড়াই পোস্ট করা হয়েছে এবং বিভিন্ন নোংরা আপত্তিকর বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
নিজের সহপাঠীদের ধর্ষণ করা নিয়ে এমন নোংরা আলোচনা ও মানসিকতা প্রকাশ্যে আসতেই কিশোরদের কুণ্ঠাও বেড়েছে। ধর্ষণের মতো বিষয় কীভাবে এত হালকা চালে গুপ চ্যাটের বিষয় হয়ে উঠেছে, অল্প বয়সে বিকৃত কামের মানসিকতা কেমন করেই বা আসে এই সমস্তটাই গভীর চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে মনস্তাত্ত্বিকদের মননেও। এই বিষয়টি নিয়ে টুইটার থেকে শুরু করে ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে #BoysLockerRoom দিয়ে নিরন্তর পোস্ট করছেন সাধারণ মানুষ।
World
India
State & District Details
State | Cases | Active | Recovered | Deaths |
---|