This Article is From Feb 17, 2020

পাত্র-পাত্রী একই! তবুও আবার ৬ ভাই বোনের বিয়ের সাক্ষী ভবানীপুরের দাসবাড়ি!

দাদু ঠাকুমাদের বিয়ে বলে কথা ! তাই নাতি-নাতনিরাও আয়োজনে কোনও খামতি রাখেন নি।

Advertisement
Kolkata Reported by , Written by

ভবানীপুরের দাস বাড়ির মহা বিয়ে বাড়ি

Highlights

  • ভবানীপুরের দাস বাড়িতে ছয় ভাইবোনের আবার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল
  • পাত্র পাত্রী একই, শুধু বিয়েটাই দুবার করে হল
  • নাতি-নাতনিরাই প্রথম এই প্রস্তাব দেন
কলকাতা:

এরা সবাই সম্পর্কে ভাই বোন। পাঁচ ভাই আর এক বোন। প্রত্যেকেই বিবাহিত, প্রতিষ্ঠিত, প্রত্যেকের ছেলে, মেয়ে রয়েছে। এমনকী রয়েছে নাতি-নাতনিও। কারও বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে তো কারও আবার ৬০ পেরিয়েছে। ভবানীপুরের দাস বাড়িতে (Bhawanipore Das family) এই ছয় ভাইবোনেরই আবার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। না, দ্বিতীয় বিয়ে নয়! কারণ পাত্র পাত্রী একই, শুধু বিয়েটাই দু'বার হল। কিন্তু কী এমন হল যে আবার বিয়ের প্রয়োজন হল এই ছয় ভাইবোনের? তাও আবার একই পাত্র এবং পাত্রীকে? আসলে পুরো ব্যাপারটার পরিকল্পনা এবং দায়িত্ব এই প্রজন্মের সদস্যরা নিয়েছিলেন। নাতি নাতনিদের পরিকল্পনা আর দায়িত্বতেই ভাই বোনেদের আবার চার হাত এক হল। তবে অবশ্যই আইন মেনে।

৮০ র দশকে বিয়ে করেছিলেন এঁরা। কিন্তু বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়নি কারোরই । আর তাই আবার একবার বিয়ের আসর বসল ভবানীপুরের দাস বাড়িতে। এবার যে বিয়ে হল তা একেবারে আইন মেনে পাকাপাকিভাবে। ৬৪ বছরের সুদীপ দাস বিয়ে করলেন একই পাত্রী ৫৩ বছরের অনিমা দাসকে। তবে সুদীপবাবু বা অনিমা দেবীই নয় একই সঙ্গে মালা বদল হল সুদীপবাবুর আরও চার ভাই এবং এক বোনের। পুরো দায়িত্বে ছিলেন নাতি-নাতনিরা।

সুদূর মীরাট থেকে যেমন উড়ে এসে শ্বশুর-শাশুড়ির বিয়ে দিলেন মোনালিসা। নানান দায়িত্ব দেওয়া ছিল এক একজনের ওপর। যেমন ঠাকুমাদের মেহেন্দি পরানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন পারমিতা। আর এই মহা বিয়ের আসর বসেছিল দাস বাড়ির ছাদে। বর আর কনেদের সাজও দেখার মতো ছিল। বরেরা যেমন ধুতি পরেছিলেন তেমন কনেরাও কোনও অংশে কম ছিলেন না। আর যাঁদের কৃতিত্বে নতুন সাজে সেজে ছিলেন এই দাদু ঠাকুমারা তাঁরা হলেন দাস বাড়ির নাতি-নাতনি।

Advertisement

এই বাড়িরই সদস্য সন্দীপ দাস জানালেন ৮০ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে রেজিস্ট্রি করা হয়নি। যে কারণে নানান রকম ঝামেলায় প্রায়শই পড়তে হত। তাই নাতি-নাতনিরাই প্রথম এই প্রস্তাব দেন। যে প্রস্তাব মেনে এগিয়ে চলেন দাদু ঠাকুমারা। একসঙ্গে এতগুলো বিয়ে কম কথা তো নয়! পুরো ক্রেডিটই নাতি-নাতনিদের দিলেন দাদু। বিয়ের খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজনও ছিল। মালাবদল যখন হল তখন বাসর জাগা হবে না, তা আবার হয়! সেই বাসরে যদি থাকে নাতি-নাতনিরা তাহলে মজা বোধহয় আরও খানিক গুণ বেড়ে যায়। ভবানীপুরের দাস বাড়ির এই আজব বিয়ে বাড়িতে এখন খুশি জমজমাট।

Advertisement