জেলা থেকে আসা উত্তর কলকাতার কয়েকটি ধর্মশালায় রাখা হয়েছে
হাইলাইটস
- ব্রিগেড সমাবেশ ঘিরে উজ্জীবিত বাম কর্মী সমর্থকরা
- লোকসভায় নির্বাচনের আগে এই ব্রিগেডকে সফল করা বামেদের পক্ষে খুবই জরুরি
- এর আগে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশ করে তৃণমূল
কলকাতা: ব্রিগেড সমাবেশ ঘিরে উজ্জীবিত বাম কর্মী সমর্থকরা। কাল রবিবার বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। প্রথম থেকেই সিপিএম নেতারা জানিয়েছেন এবারের ব্রিগেড হতে চলেছে পিপলস ব্রিগেড। চার দিন ধরে প্রস্তুতি সেরেছেন বাম নেতা-কর্মীরা। জেলা থেকে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছেন কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের উত্তর কলকাতার কয়েকটি ধর্মশালায় রাখা হয়েছে। কেউ কেউ আবার আছেন অন্য কোন জায়গায়। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সভায় আগত কর্মী সমর্থকদের জন্য খাবার সংগ্রহ করেছেন নেতারা। ছোট ছোট গাড়িতে করে সেই খাবার তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এবারের ব্রিগেড যাতে সফল হয় তার জন্য চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি সিপিএম এর বামপন্থী দলগুলি। এসএফআই থেকে শুরু করে সমস্ত সংগঠন ও শাখা সংগঠন ব্রিগেডের জন্য প্রচার করেছে। লোকসভায় নির্বাচনের আগে এই ব্রিগেডকে সফল করা বামেদের পক্ষে খুবই জরুরি। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু শনিবার জানান বামেরা পশ্চিমবঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক নয় সেটা ব্রিগেডে প্রমাণ হয়ে যাবে।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে সমাবেশ করে তৃণমূল। সেখানে দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতারা হাজির ছিলেন। আমন্ত্রণ করা হলেও কোনও বাম নেতাকে সেদিন মঞ্চে দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন সৌজন্যের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু কেউ না এলে তাঁর করার কিছু নেই।
অন্যদিকে এবারের ব্রিগেডের অন্যতম চর্চার বিষয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর উপস্থিতি। গত কয়েক দশকে বামেদের সমস্ত ব্রিগেডেই ছিলেন বুদ্ধদেব। কিন্তু এখন তাঁর শরীর ভাল নয়। বাড়ি থেকে বেরতে পারেন না। তাই শেষমেশ বুদ্ধবাবু আসবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান জানান চিকিৎসক অনুমতি দিলেই আসবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।