This Article is From Feb 18, 2020

‘‘কেন রোহিঙ্গা ও আহমদিয়ারা নয়?’’: সিএএ প্রসঙ্গে সরকারকে আক্রমণ বৃন্দা কারাতের

বৃন্দা কারাতের দাবি, এটা ভারতের ট্র্যাজেডি যে বহিরাগত শক্তির বদলে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেরাই দেশকে বিভক্ত করে সংবিধানকে দুর্বল করতে চাইছে।

‘‘কেন রোহিঙ্গা ও আহমদিয়ারা নয়?’’: সিএএ প্রসঙ্গে সরকারকে আক্রমণ বৃন্দা কারাতের

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে ‘রাষ্ট্রীয় সর্বনাশ সঙ্ঘ’ বলে কটাক্ষ করেন বৃন্দা কারাত।

হাইলাইটস

  • সিএএ প্রসঙ্গে সরকারের সমালোচনা করলেন বৃন্দা কারাত
  • কেন রোহিঙ্গা ও আহমদিয়া মুসলিমদের আইনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, প্রশ্ন তাঁর
  • তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেন
রায়পুর:

কেন মায়ানমার ও পাকিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা ও আহমদিয়া মুসলিমদের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (CAA) অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, এই প্রশ্ন তুললেন সিপিআই(এম) নেত্রী বৃন্দা কারাত (Brinda Karat )। তিনি জানতে চান, যদি সরকার প্রতিবেশী দেশের ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে এতই চিন্তিত তাহলে কেন রোহিঙ্গা ও আহমদিয়া মুসলিমদের কথা ভাবা হল না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ‘বিভাজক ও বৈষম্যমূলক' বলে দাবি করে বৃন্দা বলেন, এটা ভারতের ট্র্যাজেডি যে বহিরাগত শক্তির বদলে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেরাই দেশকে বিভক্ত করে সংবিধানকে দুর্বল করতে চাইছে।

বাম নেত্রী আক্রমণ করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকেও। তিনি অভিযোগ তোলেন, ১৯৫০ সালে যখন গোটা দেশ ড. বিআর আম্বেদকরের নেতৃত্বে রচিত সংবিধানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ছিল, তখন প্রতিবাদ করেছিল একমাত্র আরএসএস।

তিনি বলেন, ‘‘ওরা নিজেদের বলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। কিন্তু আসলে ওরা রাষ্ট্রীয় সর্বনাশ সঙ্ঘ।''

সোমবার রাতে জয়স্তম্ভ চকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনপিআরের বিরোধিতায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বৃন্দা কারাত এই কথা বলেন। প্রসঙ্গত, এই স্থানকে ‘রায়পুরের শাহিন‌বাগ' বলা হচ্ছে।

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বৃন্দা কারাত বলেন, ‘‘আপনারা (কেন্দ্র) বলছেন আপনারা প্রতিবেশী দেশের নিপীড়িত মানুষদের ভালবাসেন এবং তাঁদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমি মানছি কিছু মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হবে। কিন্তু কেন কেবল তিনটি দেশ— পাকিস্তান, আফগান‌িস্তান ও বাংলাদেশ— এরাই কি আমাদের একমাত্র প্রতিবেশী? নেপাল, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কায় কেউ ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয় না?''

বৃন্দা প্রশ্ন তোলেন, এক লক্ষ তামিল শরণার্থী ভারতে বাস করেন। তবুও সিএএ-তে তামিলদের কোনও উল্লেখ নেই।

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন আপনাদের (কেন্দ্রীয় সরকার) মায়ানমার ও পাকিস্তানের রোহিঙ্গা ও আহমদিয়া মুসলিমদের প্রতি কোনও সহানুভূতি নেই? কেন তাদের নতুন আইনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি? তারা হিন্দু নয় বলে? আপনারা নিপীড়িত মানুষদের নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। আপনারা আসলে নিজেদের সংকীর্ণ অ্যাজেন্ডাকে তুলে ধরছেন।''

তিনি দাবি করেন, গোটা দেশে সিএএ হওয়ার ফলে তা বিজেপি ও আরএসএস-এর পক্ষে ভারতকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র' হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নকে পূরণ করবে।

তিনি আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সময় আপত্তিকর মন্তব্য করার জন্য ওই দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়া উচিত ছিল বলে জানান তিনি।

.