Read in English
This Article is From May 06, 2020

বিহারের ব্রিটিশ আমলের প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে আবারও তুঙ্গে নীতীশ-বিজেপি সংঘাত! 

কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে লেখা চিঠিতে নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, ১৩২ বছরের পুরনো ওই ভবন কেবল রেলের নয়, বিহারেরও ঐতিহ্যের স্মারক।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Written by , Edited by

রেলমন্ত্রীকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জান‌িয়ে চিঠি লিখেছেন নীতীশ কুমার।

পটনা:

জোটসঙ্গী বিজেপির (BJP) সঙ্গে বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সংঘাত ক্রমশই বাড়ছে। নতুন একটি সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হল ব্রিটিশ আমলের এক বিখ্যাত ভবনকে ঘিরে। নীতীশ কুমার একটি চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কেন্দ্রের প্রতি। কেন্দ্রকে লেখা ওই চিঠিতে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছেন ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেকানিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং'-কে বিহারের জামালপুর থেকে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে। সম্প্রতি রেলমন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে লেখা চিঠিতে নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, ১৩২ বছরের পুরনো ওই ভবন কেবল রেলের নয়, বিহারেরও ঐতিহ্যের স্মারক। ১ মে তিনি ওই চিঠি লেখেন।

বুধবার সকালে বিহারের মন্ত্রী সঞ্জয় ঝা একটি টুইট করেন। সেই টুইটে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও পীযূষ গয়ালকে তিনি ট্যাগ করেন। তিনি নীতীশ কুমারের মতামতটিই তুলে ধরেন ওই টুইটে। জানিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্তকে একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি একে প্রাচীনতম কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বিহারের গর্ব বলে মন্তব্য করেন।

Advertisement

তবে নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেডের অনেকেই মনে করছেন করোনা সঙ্কটের মধ্যে এই বিতর্ককে সরিয়ে রাখা উচিত।

এই বিতর্কের মাধ্যমে নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির সংঘাত নতুন করে সামনে এল আর একবার। ২০১৫ সালে ওই প্রতিষ্ঠানকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন নীতীশ। কিন্তু তা করা হয়নি।

২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পটনা বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় প্রতিষ্ঠান ঘোষণা করার প্রস্তাবকে সরাসরি নাকচ করে দেন।

Advertisement
Advertisement