এ ধরনের ঘটনা গোটা মানবজাতিকেই লজ্জায় ফেলে দেয় বলে মত বিচারকের।
হাইলাইটস
- মরদেহের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে জেল গেল ব্রিটিশ যুবকের
- বিচারক বলেন এ কাজ করে কাসিম সমগ্র মানব জাতিকে কলঙ্কিত করেছেন
- এতগুলি মরদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা সচারাচর শোনা যায় না
London: নেশার ঘোরে চুরি করতে ঢুকে শ্মশানের ভেতরে থাকা মরদেহের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার অপরাধে ৬ বছরের জেল হল এক যুবকের। কাসিম খুররাম নামে বছর তেইশের ওই ব্রিটিশ নাগরিককে নির্দিষ্ট প্রমানের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুনানি চলাকালীন আদালতের বিচারক বলেন এই অপরাধ করে কাসিম সমগ্র মানব জাতিকে কলঙ্কিত করেছেন। কয়েকটি কফিন খোলার চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। আদালত জানিয়েছে মোট তিনটি মরদেহর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছে কাসিম। শুধু তাই নয় আরও জানা গিয়েছে সে সময় প্রচুর পরিমাণে মদ খেয়েছিল। পাশাপাশি অন্য নেশাও করেছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
ছ'ঘণ্টা ধরে জলন্ধরের রাস্তায় চিতাবাঘের তাণ্ডব, ৪ জনকে কামড়ে শেষে পাকড়াও
সাজা ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক মেলবোর্ন ইনম্যান বলেন কাসিম এই অপরাধ কেন করেছে তা সে ছাড়া আর কেউ জানে না। যদিও কাসিমের আইনজীবী জসেফ কেটিং দাবি করেন, কৃতকর্মের জন্য আগেই ক্ষমা চেয়েছে কাসিম। তদন্ত যাতে ভালোভাবে এগোতে পারে তার জন্য আগেই দোষ স্বীকার করে নিয়েছে সে। আর এর আগে কখনও এমন কোনও কাজ সে করেনি বলে দাবি আইনজীবীর। তবে জোসেফের বক্তব্য মানতে রাজি হননি বিচারক। নিজের পর্যবেক্ষণে তিনি বলেছেন এ ধরনের ঘটনা গোটা মানবজাতিকেই লজ্জায় ফেলে দেয়। আর সেই কারণেই ৬ বছরের জেলের সাজা দিয়েছেন তিনি।
মনোবিদ্যা বলে প্রতিটি অপরাধের নেপথ্যেই নির্দিষ্ট কারণ থাকে। তাছাড়া একটি পূর্ব নির্ধারিত মানসিকতার বশবর্তী হয়েই অপরাধ সংঘটিত হয়। এক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিল। এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে সমস্ত বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে দরজা ভেঙে শ্মশানে ঢুকে পরপর এতগুলি মরদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা সচারাচর শোনা যায় না। সে কথা মাথায় রেখেই বছর জেলে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ইনম্যান।