চারটির মধ্যে একটি কুকুরছানাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যায় সে
হাইলাইটস
- অসহায় মায়ের সামনেই আগুনে পোড়ানো হয় কুকুরছানাদের
- এই ঘটনার ফটো ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, বিক্ষোভ বাড়ছে
- পশু অধিকার রক্ষা কর্মীরা পুলিশে মামলা করেছেন
হায়দ্রাবাদ: নিষ্ঠুরতার ভয়াবহ উদাহরণ হায়দরাবাদে! শনিবার হায়দরাবাদের কাছে চারটি কুকুরছানাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল। কে বা কারা এই কুকুরগুলিকে আগুনে পুড়িয়েছে তা জানা যায়নি। পুলিশ এ ধরনের অমানবিক কাজে কারা জড়িয়ে রয়েছে তা খুঁজে বের করতে এলাকাটির সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছে। কুকুরছানাগুলিকে তাঁদের মায়ের সামনেই আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। অসহায়ভাবে মা কুকুরটি চিত্কার করে ও নবজাতকদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। পরে মৃত বাচ্চাগুলির কাছে গিয়ে কাঁদতেও দেখা যায় তাঁকে।
এই নোংরা নিষ্ঠুর ঘটনার ফটো এবং ভিডিও শীঘ্রই সোশ্যাল মিডিয়া এবং মেসেজের মাধ্যমে শেয়ার হয়ে যায়। এলাকার স্থানীয়রা কাছাকাছি একটি পশু অধিকার সংগঠনকেও খবর দেয় যারা তাঁরা ঘটনাস্থলে একজন পশু রক্ষককেও পাঠান। যখন ওই উদ্ধারকারী এলাকায় পৌঁছন, তিনি দেখেন একটি বাচ্চা তখনও জীবিত রয়েছে। তিনি কুকুরছানাটিকে বাঁচাতে হাসপাতালে দৌড়ান। তিনটি কুকুর ইতিমধ্যে মারা গিয়েছিল। চতুর্থটিকে উদ্ধার করে এবং কিছু জরুরি ওষুধ দিয়ে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্ধ্যায় ওই কুকুরছানাটিও পশুচিকিত্সা ক্লিনিকে মারা যায়।
'পিপল ফর অ্যানিম্যাল' সংগঠনের ওই কর্মী তারপর প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলিটি অ্যাক্টের অধীনে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে পুলিশে মামলা করেন, এরপরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা শুরু করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাণীদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার উদাহরণ বারেবারে সামনে এসেছে।
দুই বছর আগে একই ধরনের ঘটনায় হায়দ্রাবাদে বিভিন্ন জায়গায় নবজাতক কুকুরছানাদের জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। কিছু শিশু ও কিশোর কিশোরী কুকুরছানাদের একসঙ্গে বেঁধে পুড়িয়ে দেয়। 2016 সালের জুলাই মাসে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
চেন্নাইতেও 2017 সালে একটি কুকুরকে শ্বাসরোধ করে হত্যাত ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছিল। তার আগের বছর, চেন্নাইয়ে দুই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র একটি ভবনের ছাদ থেকে একটি কুকুরকে নীচে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।