পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের ফলে এই বছর মোট 33 জন মানুষ নিহত হয়েছে
জম্মু:
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের ফলে জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তে মৃত্যু হল এক বিএসএফের জওয়ানের। আজ এ কথা জানিয়েছেন বিএসএফের এক অফিসার।
রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের চারদিন আগেই সীমান্তের ওপার থেকে গুলি চালানোর এই ঘটনা ঘটল।
গতকাল রাত 11.30 মিনিট নাগাদ মাঙ্গুচক অঞ্চলে অনর্থকভাবে যথেচ্ছ গুলিচালনা করা শুরু করে পাকিস্তান। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক অফিসার এই কথা জানান।
তিনি জানান, প্রায় দু’ঘন্টা ধরে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ গুলিবর্ষণ চলতে থাকে, যার ফলে, কনস্টেবল দেবেন্দর সিংহ গুলির আঘাতে লুটিয়ে পড়েন।
তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি বলে জানান ওই অফিসার।
তিনি বলেন, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, দু’পক্ষের মধ্যে বিরতিহীন গোলাবর্ষণ চলছে।
এই ঘটনার 24 ঘন্টা আগেই বিএসএফ জানিয়েছিল, পাঁচজনের একটি দল সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছে ইতিউতি, জঙ্গি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তাদের। কাঠুয়া জেলার নিকটবর্তী হিরানগরে জোরদার তল্লাশি শুরু করে আইবি। হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয় গোটা জম্মু জুড়ে।
ভারতীয় সেনা রীতিমতো হেলিকপ্টার নিয়ে শুরু করেছে এই তল্লাশি অভিযান, যা আজ নিয়ে দ্বিতীয় দিনে পড়ল। জানিয়েছেন এক আধিকারিক।
সীমান্তে পাকিস্তানী সেনার গোলাবর্ষণের দেবেন্দর সিংহের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এই রকম 700’র ওপর মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এই বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যাটা দাঁড়াল- 33। তার মধ্যে 17 জনই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য।
প্রধানমন্ত্রীর জম্মু ও কাশ্মীরে আসার কথা আগামী 19 মে।
শেষ তিন মাস জুড়ে সীমান্তে ভয়াবহ গোলাবর্ষণের কারণে যত্রতত্র সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রবল আতঙ্কের মধ্যে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।
সীমান্তে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালানোর ঘটনা এখনও অব্যাহত।