কলকাতা: শনিবারে তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছিলেন, বিএসএফ (BSF) তাঁদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছেন। একদিন কাটতেই কিঞ্চিত যেন নরম সুর পরিচালক অপর্ণা সেনের ( Aparna Sen) গলায়। রবিবার তিনি জানালেন, শনিবার সীমান্তরক্ষীরা তাদের কোচবিহার জেলার ছিটমহলে (enclave) প্রবেশ করতে বাধা দিলেও সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেননি! বিএসএফ কর্তৃপক্ষের কাছে নাকি দিনহাটা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও চিঠি এসে পৌঁছোয়নি। তাই তাঁরা তাঁদের ছিটমহলে প্রবেশ করার অনুমতি দিতে পারেননি। তবে সেখানকার বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি তাঁরা তাঁদের নাকি দিয়েছিলেন!
হাওড়া ঢোকার মুখে লাইনচ্যূত কালকা মেলের ২টি বগি
তিনি আরও জানান, "বিএসএফের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও ক্ষোভ নেই। ওঁরা আমাদের সঙ্গে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিলেন। এবং বন্দিদের এলাকার বাইরে আমাদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন। তবে এর মাধ্যমে আমরা দেশ-রাজ্যের তাতক্ষণিক অবস্থা সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম।" এদিকে শনিবার মুখ না খুললেও বিএসএফের এক প্রবীণ কর্মকর্তা রবিবার বলেছেন, সীমান্ত ছিটমহল দেখার জন্য বৈধ কাগজপত্রের প্রয়োজন। বিএসএফ গুয়াহাটি সীমান্তের ডিআইজি জে কে রুদোলার কথায়, ‘অসমের রাজধানী কোচবিহারের বিএসএফের আওতায় পড়ে। আর সীমান্তের ছিটমহলে যেতে গেলে জেলা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি, সীমান্ত অঞ্চল ভূমির মালিক দলিল বা কিসান কার্ডের মতো বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে।"
প্রসঙ্গত, শনিবার কোচবিহারের ছিটমহলে ঢুকতে বাধা দেন বিএসএফ জওয়ানেরা, এমনটাই অভিযোগ ছিল পরিচালক এবং নারী সুরক্ষা অধিকার কমিটির বোলান গঙ্গোপাধ্যায়ের। বোলান গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও অপর্ণা সেনের সঙ্গে ছিলেন সিটিজেন স্পিক ইন্ডিয়া এবং এক স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থার কিছু সদস্যেরা। কোচবিহারের দিনহাটার কলারালা গ্রামে ছিটমহলে বসবাসকারী ১১ টি পরিবারের ৫০ জন সদস্যের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।
অপর্ণা সেনকে কোচবিহারের ছিটমহলে ঢুকতে বাধা বিএসএফ জওয়ানদের
শনিবার রাতে একটি টুইট বার্তায় অপর্ণা জানান, "সিটিজেন স্পিক ইন্ডিয়া কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয়। আমাদের লক্ষ্য, সব অবস্থায় সহ-নাগরিকদের দুর্দশার সময় আমরা তাঁদের পাশে থাকব। " তিনি আরও একটি টুইটে অভিযোগের আঙুল তোলেন বর্তমান রাজ্য রাজনীতির দিকে। বলেন, "বর্তমানে আমাদের রাজ্য বা দেশে এতটাই রাজনৈতিক মেরুকরণ চলছে যে এর বাইরে আমরা কিছুই ভাবতে পারছি না বা চাইছি না। তাই মানবিকতা থেকে কেউ কারোর পাশে দাঁড়াতে চাইলেও তাতে রাজনীতির রং আপনা থেকে লেগে যায়।"