গবাদি পশুর চোরাচালান রুখতে তৎপরতা বাড়াচ্ছে বিএসএফ।
হাইলাইটস
- গলায় বিস্ফোরক বাঁধা গরু উদ্ধার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে
- তৎপর বিএসএফ
- বিএসএফের পক্ষে বাহিনী, মোটরবোট ও নজরদারির যন্ত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India-Bangladesh border) গবাদি পশুর চোরাচালান (Cattle smuggling) কোনও নতুন ঘটনা নয়। সীমান্তে এই চোরাচালান রুখতে সব সময়ই তৎপর থাকে বিএসএফ (BSF)। কিন্তু এবার তারা সাক্ষী হল এক অভিনব ও নিষ্ঠুর পদ্ধতির। বৃহস্পতিবার বিএসএফ গলায় বিস্ফোরক বাঁধা গরু উদ্ধার করার পরে সামনে এল সেই নতুন পদ্ধতির কথা। বিএসএফ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই প্রথম তাঁরা এমন নিষ্ঠুর পদ্ধতির সাক্ষী হলেন। গরুর গলায় আইডি বা বিস্ফোরক বেঁধে রাখা হয়েছে। কেউ তাদের ধরে ফেললে যাতে সেই বিস্ফোরক ফেটে আহত হয়, সেই কারণেই এমন পরিকল্পনা বলে জানা যাচ্ছে। বিস্ফোরণ হলে কেবল বাহিনীর লোকই নয় গবাদি পশুটিও মারাত্মক জখম হবে, পরিকল্পনা তেমনই। কোনও কোনও গরুর গলায় অ্যালুমিনিয়াম কৌটোয় ভরে রাখা হয়েছে বিস্ফোরক। তারপর তা বেঁধে দেওয়া হয়েছে গলার সঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে হারুডাঙা সীমান্ত পোস্ট থেকে সেগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ব্যাগ থেকে নয়, বীরভূমে মহিলার পেট থেকে বেরলো ১.৫ কেজি গয়না ও কয়েন
কলা গাছ ও দড়ির সাহায্যে বেঁধে গরুগুলিকে মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার বিভিন্ন নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় বলে বলে আধিকারিকরা জানান।
তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পেরেছি বিএসএফকে ভয় দেখাতেই চোরাচালানকারীরা এই কাণ্ড করেছে। সব মিলিয়ে ৩৬৫টি গবাদি পশু বুধবার থেকে দু'দিনের মধ্যে ধরা পড়েছে সীমান্তে।''
‘ছেলেধরা' সন্দেহে জলপাইগুড়িতে পিটিয়ে খুন এক রূপান্তরকামীকে
গত দু'সপ্তাহে ১,৫০০ গরু ও মোষ উদ্ধার হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে। গবাদি পশু পিছু দাম ৮০,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১,৪০,০০০ টাকা হওয়ায় তাদের চাহিদা আরও বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক গবাদি পশুর চোরাচালান বৃদ্ধির ঘটনায় বিএসএফের পক্ষেও বাহিনী, মোটরবোট ও নজরদারির যন্ত্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
এরই পাশাপাশি বৃহস্পতিবার এক মাদক চোরাচালানকারীর দলকে ধরতে গেলে তারা দেশি বোমা ছুড়ে আক্রমণ করে বিএসএফ বাহিকে। ঘটনা বহরমপুরের।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)