हिंदी में पढ़ें
This Article is From Jul 20, 2020

মালগাড়ির মধ্যে ৪৬ লক্ষ টাকারও বেশি মাল পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ

West Bengal Smuggling: নদিয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ওই চোরাই মাল বাজেয়াপ্ত করেন জওয়ানরা, ঘটনার সঙ্গে কোনও সরকারি কর্মীর যোগসাজশের সন্দেহ করা হচ্ছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Goods train: বিএসএফ ট্রেন থেকে ৪৬.৫ লক্ষ টাকার চোরাই মাল বাজেয়াপ্ত করেছে

Highlights

  • ৪৬ লক্ষ টাকারও বেশি চোরাই মাল বাজেয়াপ্ত করলো বিএসএফ
  • মালগাড়ির মধ্যে দিয়ে মাল পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল
  • এই ঘটনার সঙ্গে সরকারি কর্মীদের যোগসাজশের সন্দেহ করা হচ্ছে
নদিয়া:

নদিয়া জেলার (West Bengal) সীমান্তবর্তী এলাকায় মালগাড়িতে করে চোরাচালানের চেষ্টা (West Bengal Smuggling) ব্যর্থ করলো ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তৎপরতা। বিএসএফের ৫৪ তম ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা (BSF) একটি মালগাড়ির (Goods train) মধ্যে থেকে বাজেয়াপ্ত করলেন ৪৬.৫ লক্ষ টাকার পণ্য। জানা গেছে, ওই এলাকা দিয়েই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রেলপথে পণ্য আদানপ্রদান করা হয়। আর সেই পথ ব্যবহার করেই অবৈধভাবে অসংখ্য দ্রব্য পাচারের চেষ্টা করছিল কেউ বা কারা, যা বানচাল করে দিলো বিএসএফ। খবর অনুসারে, ভারত থেকে একটি মালবাহী ট্রেনের (Train No.RD 83 UP/Engine No-14011) রানাঘাট থেকে আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট গেদে হয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল। ট্রেনটি রওনা হওয়ার আগে বিএসএফের কর্তব্যরত জওয়ানরা দেখতে পান যে, মালগাড়িটির একটি বগির দরজা অল্প একটু খোলা রয়েছে। তারপরেই তাঁরা মালগাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান। 

সমস্ত রেকর্ড চুরমার! ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত ভারতে!

যা ভাবা গেছিল ঠিক তাই। বিএসএফের জওয়ানরা যে বগির দরজা অল্প খোলা দেখে সন্দেহ করেছিলেন সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বুঝতে পারেন যে অবৈধভাবে কিছু পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএসএফের তরফ থেকে খবর পাঠানো হয় শুল্ক দফতর (গেদে) এবং আরপিএফকে। বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন শুল্ক দফতর এবং আরপিএফের কর্তারা। সন্দেহজনক বগিটি পরিদর্শন করে তার ভিতরে লুকিয়ে রাখা তিরিশটি অবৈধ চোরাচালান সামগ্রী ভর্তি বাক্স বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাক্সগুলি খোলার পর সেখানে বেশ কিছু শাড়ি, জুতো, চপ্পল, প্রসাধন সামগ্রী, মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ধরণের ওষুধ এবং ফেনসিডিলের বোতল উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা মৃত্যুর নয়া রেকর্ড, একদিনে মৃত ৩৬ জন রোগী

ওই বাজেয়াপ্ত করা দ্রব্যগুলোর ভারতীয় বাজারে মোট আনুমানিক মূল্য ৪৬.৫ লক্ষ টাকা। ৫৪ তম ব্যাটিলিয়নের কমান্ডিং অফিসার দেশরাজ সিং জানান যে, গেদে ও বনপুরের মধ্যে থাকা ওই এলাকাটি চোরাচালানের জন্যে ব্য়বহারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। এর আগেও ওই এলাকা দিয়ে পাচার করার চেষ্টা করা হয়েছে। পাচারকারীরা এখানে পাচারের জন্য মূলত পণ্যবাহী ট্রেন এবং সাধারণ ট্রেনকেও ব্যবহার করে। খুব অল্পসময়ের মধ্যে মালগাড়িটির ৪৩ টি বগি পরীক্ষা করার মতো দুঃসাধ্য কাজ করে দেখিয়েছেন জওয়ানরা, তার জন্যে বিএসএফের জওয়ানদের তারিফও করেন তিনি। কীভাবে এই চোরাচালানের চেষ্টা করা হচ্ছিল এবং এই ঘটনার সঙ্গে কোনও সরকারি কর্মী জড়িয়ে আছেন কিনা সেবিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

Advertisement