Budget 2020: বিশ্ব বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে ভারত; প্রধানমন্ত্রী
হাইলাইটস
- বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পরিসর বাড়াবে বাজেট ২০২০
- শনিবার মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী
- পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও নগদ জোগানের হাল ফেরাবে বাজেট, বলেন তিনি
নয়াদিল্লি: বাজেট ২০২০-র ভূয়সী প্রশংসায় সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি। শনিবার পেশ করা বাজেট (Budget 2020) প্রসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী একাধিক ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তাঁর (Narendra Modi) মতে, "এই বাজেটে মানুষের আয় বাড়বে। বিনিয়োগের পরিসর বাড়বে। দাবি এবং সরবরাহের পরিসর বাড়বে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাল ফেরাবে আর বাজারে নগদের জোগান বাড়বে।" কর আদায়ের প্রক্রিয়াকে সরলীকরণ করার পাশাপাশি প্রশাসন পরিচালনায় স্বছতা আনবে, শনিবার এমন দাবিও করেছেন তিনি। এই বাজেটে মধ্যবিত্তদের হাতে নগদের জোগান বাড়াতে করদান প্রক্রিয়ায় বড় বদল আনেননি অর্থমন্ত্রী। ফলে ঘুরিয়ে এই সিদ্ধান্ত কর্মসংস্থানের পরিবেশ তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন নরেন্দ্র মোদি।
Budget 2020: এবার বেসরকারিকরণের পথে এলআইসি, শেয়ারের একাংশ বিক্রি করে দিচ্ছে সরকার
বিশ্ববাজারে প্রভাব বাড়াতে একাধিক প্রকল্প নিয়েছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবারের বাজেটের সে প্রসঙ্গের উল্লেখ আছে। সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্মার্ট সিটিস, ডেটা সেন্টার, জৈব-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। যার দিশা বাজেটে দেখানো হয়েছে। গত ৫টি ত্রৈমাসিকের হিসেবে ক্রমশ পড়েছে জিডিপি সূচক। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে জিডিপি সূচক ছিল ৪.৫%। ২০১৩- এর পর এই প্রথম ৫-এর নীচে পতন, সাম্প্রতিক কালে দাবি করেছেন অর্থনীতিবিদরা। এমনকি ২০০৮-০৯ সালে বিশ্বব্যাপী যে মন্দা ছিল, তাঁর চেয়েও খারাপ আর্থিকবৃদ্ধি। এমন উদ্বেগও তাঁরা প্রকাশ করেছেন। তাঁর মধ্যেই এদিন ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারমণ।
Budget 2020: এলআইসির শেয়ার বিক্রি ঘিরে কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিন সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক ঘাটতি ৩.৮% ধরা হয়েছে। ২০১৯-২০-র হিসেবে যা সংশোধিত। আর আগামী অর্থবর্ষের শেষে এই আর্থিক ঘাটতি ৩.৫%-এ নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিন বাজেটে জানান অর্থমন্ত্রী। সরকারের এই আর্থিক পরিকল্পনা তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। প্রত্যাশী ভারত, আর্থিক উন্নয়ন আর যত্নবান সমাজ। শনিবার দাবি করেন নির্মলা সীতারমণ।
এদিকে, শনিবার টানা ১৬০ মিনিট বাজেট বক্তৃতা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেই বক্তৃতা এতটাই দীর্ঘ যে বিষয়বস্তু নাকি বুঝেই উঠতে পারেননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং। এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই বলেছেন। তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করতে না চাইলেও, অন্য কংগ্রেস নেতারা সমালোচনার সুরে বিঁধেছেন শনিবারের বাজেট বক্তৃতাকে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বলেন, "যুব সমাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে কোনও দিশা নেই। শুধুই বুলি, কাজের কোনও কাজ প্রতিফলিত হয়নি।"