প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) মানুষের থেকে পরামর্শ ও আইডিয়া জানতে চেয়েছেন।
নয়াদিল্লি: কয়েকদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাজেট (Budget 2020)। তার আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সাক্ষাৎ করবেন দেশের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে। ওই বৈঠক হবে নীতি আয়োগে। বাজেটের আগে প্রতিবারই বার্ষিক এই বৈঠক করে কেন্দ্রীয় সরকার। গত জুনে দেশের সেরা ৪০ জন অর্থনীতিবিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বাজেট ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হওয়ার কথা। যদিও তারিখটি এখনও সরকারি ভাবে ঘোষিত হয়নি। অর্থনৈতিক মন্দা ও তার ফলে সৃষ্টি হওয়া বেকারত্বের পরিস্থিতিতে এবারের বাজেট। সরকার জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমান অর্থবর্ষের আর্থির বৃদ্ধির হার তথা জিডিপি হবে ৫ শতাংশ— যা গত ১১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
২০১৮-১৯ সালে জিডিপি ছিল ৬.৮ শতাংশ। ২০০৮-০৯ সালে বিশ্বমন্দার সময় জিডিপি ছিল ৩.১ শতাংশ।
মনে করা হচ্ছে বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আয়করে ছাড় বা পরিকাঠামোয় অধিক বিনিয়োগের মতো পদক্ষেপ করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাজেট ১৩০ কোটি ভারতীয়র আশার প্রতিনিধিত্ব করে এবং ভারতের উন্নতির পথ তৈরি করে। আমি আমার সরকারের এবছরের বাজেটের জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই আপনাদের আইডিয়া ও পরামর্শ আমাদের জানানোর জন্য।''
আর একটি টুইটেও প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, সরকার কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে কাজ করছেন। তিনি মানুষের থেকে পরামর্শ ও আইডিয়া জানতে চেয়েছেন। এদিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম দাবি করেছেন, জিডিপির যে অঙ্ক বলা হচ্ছে তা অতিরঞ্জিত। তিনি টুইট করে বলেন, প্রথম ছ'মাসে বৃদ্ধির হার যেখানে ৪.৭৫ শতাংশ, সেখানে পরের অর্ধে এটা ৫.২৫ শতাংশ হয়েছে তা বিশ্বাস করা শক্ত।
অন্য একটি টুইটে তিনি দাবি করেন, কৃষি, খনি ও নির্মাণ শিল্পের মতো ক্ষেত্রে জিডিপি ৩.২ শতাংশের বেশি হবে না। এদিকে আর এক প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিংহও জানিয়েছেন, ৫ শতাংশ জিডিপির বিষয়টি অত্যন্ত সন্দেহজনক।