ভারতে ৯৫৩ মিলিয়ন মানুষের কাছে থাকা মোট সম্পদের চারগুণ বেশি সম্পদের অধিকারী দেশের এক শতাংশ Indian Billionaires
হাইলাইটস
- বিশ্ব জুড়ে ক্রমশই বাড়ছে অর্থনৈতিক বৈষম্য
- সমীক্ষা বলছে, দেশের মানুষের হাতে থাকা মোট সম্পত্তির থেকেও ধনবান কোটিপতিরা
- দেশের বাজেটে বরাদ্দ অর্থের থেকেও বেশি টাকা আছে কোটিপতিদের হাতে
দাভোস: বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের কাছে যত সম্পত্তি আছে তাদের মিলিত পরিমাণের থেকে অনেক বেশি সম্পত্তির মালিক বিলিওনিয়াররা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুধু ভারতেই ৯৫৩ মিলিয়ন মানুষের কাছে থাকা মোট সম্পদের চারগুণ বেশি সম্পদ রয়েছে দেশের এক শতাংশ ধনী সম্প্রদায়ের (Indian Billionaires) হাতে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget) পেশ হতে চলেছে সংসদে। তার আগে অক্সফামের (Oxfam) এই আশ্চর্য পরিসংখ্যান সামনে এলো যাতে দাবি করা হচ্ছে ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে বরাদ্দ মোট অর্থের চেয়েও বেশি টাকা রয়েছে দেশের বিলিওনিয়ারদের হাতে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) পঞ্চাশতম বার্ষিক সভার আগে 'টাইম টু কেয়ার' সমীক্ষা প্রকাশের সময় অক্সফাম জানিয়েছে, বিশ্বের ২,১৫৩ বিলিওনিয়ারের কাছে বিশ্বের ৪.৬ বিলিয়ন মানুষের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণের থেকেও বেশি সম্পদ রয়েছে।
দিনে দিনে এই অর্থনৈতিক বৈষম্য আরও প্রবল হচ্ছে। গত এক দশকে বিলিওনিয়ারের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, যদিও তাদের সম্মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ গত বছরে কিছুটা হলেও কমেছে।
অক্সফাম কনফেডারেশনের প্রতিনিধিত্ব করতে আসা অক্সফাম ইন্ডিয়ার সিইও অমিতাভ বেহার বলেছেন,"ইচ্ছাকৃতভাবেই এই অর্থনৈতিক বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে। এই বৈষম্য দূর করতে আলাদা অর্থনৈতিক নীতি তৈরি করা দরকার। যার মাধ্যমে দেশ তথা বিশ্বের ধনী-দরিদ্রের মধ্যেকার ব্যবধানটি দূর করা যায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে খুব কম দেশের সরকারই এটা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়, তাঁরা কোটিপতিদেরই পাশে রয়েছে।"
দেশে ধনীতম মুকেশ আম্বানি, এগোলেন আদানি
সোমবার থেকে শুরু হওয়া ডব্লিউইএফের পাঁচ দিনের শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনায় আয় এবং লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়গুলি বিশেষভাবে উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ডব্লিউইএফ-এর বিশ্বের বার্ষিক ঝুঁকি সংক্রান্ত প্রতিবেদনেও সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে যে, বিশ্বের নানা দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্যের ফলেই সামগ্রিকভাবে বিশ্ব অর্থনীতি নিম্নমুখী হয়ে পড়ছে।
অধিকাংশ দেশেই অতি বিত্তবানের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে হারে বাড়ছে। একইসঙ্গে সমাজে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা কমছে। এই প্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং এর সমাধান করা না গেলে আগামীতে গোটা বিশ্বই বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হবে।
‘‘কেবল অতি ধনীদের জন্য'': প্রধানমন্ত্রীর বাজেট বৈঠক প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধি
যেহেতু মধ্যবিত্ত শ্রেণীই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি; তাই আগামীতে গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই কোনও দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন করতে হলে এক শ্রেণির হাতে অর্থ কুক্ষিগত থাকলে চলবে না। পাশাপাশি দেশের নারী সমাজকও আরও উন্নত করতে হবে। অর্থনৈতিক ভাবে তাঁদেরও সবল করতে হবে। তবেই সম্ভব হবে সাম্গ্রিক উন্নয়ন, এমনটাই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।