আমফানেরপ্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু রাজ্যে।
আতঙ্কের প্রহর গুনছে রাজ্য। আর কিছু সময়ের মধ্যেই রাজ্যে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড় আমফান (Amphan)। ভারতের আবহাওয়া দফতর ‘ইন্ডিয়ান মেটারোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট'-এর সাম্প্রতিক বুলেটিনে জানানো হয়েছে বুধবার সকাল সাড়ে বারোটায় আমফান অবস্থান করছে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১৫০ কিমি দূরে। দিঘা থেকে দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে ৯৫ কিমি দূরে রয়েছে আমফান (Cyclone Amphan)। পারাদ্বীপে বাতাসের গতি ৮১ কিমি/ঘণ্টা। চাঁদবালি, ভুবনেশ্বর ও বালাসোরে হাওয়ার গতিবেগ রয়েছে যথাক্রমে ৪১ কিমি/ঘণ্টা, ৩১ কিমি/ঘণ্টা, ৭৮ কিমি/ঘণ্টা। এই মুহূর্তের হাওয়ার গতি রয়েছে ১৬০-১৭০ কিমি/ঘণ্টা। সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯০ কিমি/ঘণ্টা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দিঘা ও সুন্দরবনের কাছে হাতিয়ায় বিকেল চারটে নাগাদ আছড়ে পড়বে আমফান। ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১৫৫-১৬৫ কিমি/ঘণ্টা। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৮৫ কিমি/ঘণ্টা।
আমফান আতঙ্কে (Amphan in Kolkata) ইতিমধ্যেই কলকাতা বিমানবন্দর বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বিমানবন্দরের যাবতীয় কাজকর্ম। আমফানের প্রভাবে বিরাট ক্ষতির আশঙ্কায় আগে থাকতেই কলকাতায় বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অফিস ও বাজার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় কমপক্ষে ৩ লক্ষ মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে।
কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার মানুষজনকে আপাতত ঘরবন্দি থাকার বিষয়েই অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই ঘূর্ণিঝড়টি ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে, সুতরাং মানুষজনকে অনুরোধ করছি, আপনারা এই সময় ঘর ছেড়ে দয়া করে বাইরে বের হবেন না।"
আমফানের প্রকোপে অভূতপূর্ব বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া পূর্বাভাসকারী সংস্থা ‘স্কাইমেট'।
উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে এবং যথাসম্ভব নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে মৎস্যজীবীদের বুধ ও বৃহস্পতিবার সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।