বুরারির পরিবারটির 11 জন সদস্যেরই মৃত্যু হয়।
নিউ দিল্লি: আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল বুরারির চুন্দাওয়াত পরিবারকে নিয়ে। ওই পরিবারটির বয়স্কতম সদস্য 77 বছরের নারায়ণী দেবীর দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পর পুলিশের এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানান, গোটা পরিবারের সমস্ত সদস্যই মারা যান গলায় ফাঁস দিয়েই।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরীক্ষা করে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, ওই পরিবারের অন্তত তিনজন সদস্যের হাতের দড়িটা আলগাভাবে বাঁধা ছিল। পুলিশের ধারণা, হয় তাঁরা অন্যদের ঝুলতে সাহায্য করার পর নিজেদের হাত বাঁধেন অথবা গলায় ফাঁস চেপে বসার পর কোনওভাবে বাঁচার শেষ চেষ্টাটি করেছিলেন।
পরিবারের এগারোজন সদস্যের মধ্যে 10 জনের দেহ ছাদের লোহার গ্রিল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় গত 1’লা জুলাই। একমাত্র নারায়ণী দেবীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল অন্য একটি ঘরের মেঝে থেকে।
“ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে এই কথা স্পষ্ট যে, ওই পরিবারের সমস্ত সদস্যেরই মৃত্যু হয়েছিল গলায় ফাঁস দেওয়ার ফলে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, এটি একটি আত্মহত্যাই। ওি রিপোর্ট আমরা পর্যালোচনা করব”, পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার ( ক্রাইম ) অলোক কুমার এই কথা বলেন সাংবাদিকদের।
নারায়ণী দেবীর দেহের কাছ থেকে একটি বেল্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ। একটি স্টোল জড়ানো ছিল তাঁর ঘাড়ে।
পুলিশের সন্দেহ, আলমারি থেকে ঝুলে পড়েছিলেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছেল আগেই যে, কীভাবে এই গোটা আত্মহত্যার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে, তা নিয়ে একদম স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া ছিল লিখিতভাবে।
এর মধ্যেই পুলিশের কাছে একটি বেনামী চিঠি এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, করলার ‘বিড়িওয়ালে বাবা’ নামের এক স্বঘোষিত গডম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই পরিবারের। গতকাল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কিছু সূত্র পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)