ভাটিয়াদের 11 জনের মধ্যে 10 জনের দেহ উদ্ধার হয় ঝুলন্ত অবস্থায়।
নিউ দিল্লি: টমি ভাল আছে। বাড়ির 11 জনের মৃত্যুর পর তার খোঁজ প্রথমে কেউ নেয়নি। দিন কাটছিল অবহেলা আর অনাহারে। শেষমেশ সঞ্জয় মহাপাত্র নাম এক ব্যক্তি উদ্ধার করে টমিকে। তাঁর তত্বাবধানেই চিকিৎসা চলছে টমির। পেটের সমস্যা আছে এখনও। তবে খুব তাড়াতাড়ি সুষ্ঠ হয়ে যাবে সে, এমনটাই মনে করেন সঞ্জয়।
এই টমি কোনও সাধারণ সারমেয় নয়। মাত্র কয়েকদিন আগে পর্যন্ত সে ছিল উত্তর দিল্লির এক ভরা সংসারের নয়নের মণি। কিন্ত একটা ঘটনা তোলপাড় করে দিয়েছে সবকিছু। একসঙ্গে বাড়ির 11 জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের অনুমান কোনও এক বিশেষ ধার্মিক কারণে বাড়ির সদস্যরা নিজেরাই নিজেদের শেষ করে দিয়েছেন। সে সময় বাড়ির তিন তলার একটা ঘরে চেন বাঁধা অবস্থায় ছিল টমি। কেউ খোঁজ নেয়নি। উত্তর দিল্লির বুরারির বাড়ির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে জলঘোলাও হয়েছে বিস্তর। তবু সামান্য খাওয়ার টুকুও পায়নি টমি। হয়ত বা মরেই যেত ! টমির উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন সঞ্জয়। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিয়ে আসেন নিজের সেন্টারে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে টমির। নয়ডার বাসিন্দা সঞ্জয় জানিয়েছেন , এখন ভাল আছে সে। প্রথম যখন তাকে নিয়ে আসা হয় তখন মেজাজ বেশ খারাপ ছিল। কাছে গেলেই তেড়ে আসছিল। কয়েকজনকে কামড়েও দিয়েছে। এখন ধীরে ধীরে সুস্থ ও স্বাভবিক হয়ে উঠছে টমি। সঞ্জয়ের আক্ষেপ সেদিন যদি টমিকে বেঁধে রাখা না হত তাহলে হয়ত এতবড় ঘটনা সহজেই এড়ানো যেত।
মাত্র কয়েকদিন আগে উত্তর দিল্লির এই বাড়িতে একসঙ্গে 11 জনের দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির প্রবীন থেকে নবীব সদস্য প্রাণ যায় সকলেরই। গোটা ঘটনায় অবাক এই ভাটিয়া পরিবারের আত্মীয় ও পরিচিতরা। তাঁরা পুলিশকে জানান বাড়ির এক মেয়ের বিয়ের কথা চলছিল। এরই মাঝে এমনটা কি করে হল তা তারা বুঝতে পারছেন না। শুরু হয়েছে তদন্ত। এখনও পর্যন্ত পাওয়া পুলিশি তথ্য বলছে মোক্ষলাভের মতো ধার্মিক কারণেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে পরিবার।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)