বুরারি মৃত্যুরহস্য: মৃত বাবার কাছ থেকে বার্তা পেতেন বলে জানিয়েছিলেন ললিত ভাটিয়া
নিউ দিল্লি: দিল্লির একটি বাড়িতে একই পরিবারের 11 জনের রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত কোনদিকে যাবে, তা এখন ওই বাড়ি থেকে পাওয়া কয়েকটি নোটের ওপর নির্ভর করছে। ওই নোট দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ভাটিয়া পরিবারের একজন সদস্য প্রবলভাবে অতিলৌকিক ব্যাপারে বিশ্বাস করতেন।
গত রোববার সকালে 77 বছরের নারায়ণ দেবীকে তাঁর সন্তান এবং নাতি-নাতনি সহ নিজেদের বাড়ি থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় তাঁর ঘরের বিছানা থেকে। বাকি 10 জনের দেহ, যাদের মধ্যে 15 বছরের দুই কিশোরও ছিল, উদ্ধার করা হয় উত্তর দিল্লির বুরারিতে তাঁদের বাড়ির হলঘরের ছাদে লাগানো লোহার গ্রিল থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, নারায়ণ দেবীর ছোটো ছেলে 45 বছরের ললিত ভাটিয়ার মস্তিষ্কপ্রসূত এই ‘গণ আত্মহত্যা’। পুরো মৃত্যুর পরিকল্পনাটি তিনি চিরকুটে লিখে রেখে গিয়েছেন। কয়েক বছর আগে মৌন থাকার শপথ নিয়েছিলেন বলে কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। কিন্তু, কয়েকদিন আগে থেকে উনি আবার কথা বলা শুরু করেছিলেন। নিজের মৃত বাবার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিয়ে কথা বলতেন তিনি।
যে নোটগুলি পাওয়া গিয়েছে তাঁর ডায়েরি থেকে, তাদের মধ্যে একটিতে নিয়তি নির্ধারণ করে তিনি লেখেন, তাঁর পরিবারের এর ফলে কোনও ক্ষতি হবে না। সবাই বেঁচে যাবে।
ডায়েরিটিতে এই নিয়ে ললিত লিখেছেন, “শেষ সময়ে, শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়ে যাওয়ার পর, আকাশ নড়বে, পৃথিবী কাঁপবে, ওই সময় ঘাবড়ে গেলে চলবে না, জোরে জোরে মন্ত্র পড়ে যেতে হবে, আমি ওই সময়ে এসে তোমাদের নামিয়ে আনব”।
পুলিশ জানিয়েছে, ললিত বিশ্বাস করতেন, তাঁর দশ বছর আগে মৃত বাবার কাছ থেকেই এই নিয়ে উপদেশ পেয়েছেন তিনি।