বুরারি মৃত্যুরহস্য: 77 বছরের মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে মেঝে থেকে।
নিউ দিল্লি: দিল্লির একটি বাড়িতে একই পরিবারের 11 জনের রহস্যজনক মৃত্যুর পরদিনই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট চলে এল। সেই রিপোর্ট মারফৎ জানা গেল, তাঁদের মধ্যে অন্তত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে গলায় দড়ি দেওয়ার কারণে। উত্তর দিল্লির বুরারিতে ভাটিয়া পরিবারের তিন প্রজন্মের মৃতদেহ রোববার সকালে উদ্ধার করা হয় তাঁদের বাড়ি থেকে। রোববার সকালে তাঁদের পারিবারিক মুদির দোকানটি বন্ধ দেখে প্রথম সন্দেহ হয় এক প্রতিবেশীর। পুলিশ এখনও এই মৃত্যুর কারণ উদ্ধার করতে পারেনি। এটি কি কোনও গণ আত্মহত্যা নাকি খুন এবং আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল। পুলিশ জানিয়েছে, একটা হাতে লেখা নোট উদ্ধার করার পর ওই পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য অতিপ্রাকৃত ব্যাপারে বিশ্বাস করতেন বলে মনে করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতেই একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
বুরারি মৃত্যু নিয়ে 10টি আপডেট:
- একটি ছাড়া সমস্ত মৃতদেহই ছাদ থেকে ঝুলছিল। প্রায় প্রত্যেকটি দেহ চোখ বাঁধা, মুখ বাঁধা ও হাত পিছন দিকে শক্ত করে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আজ দিল্লিতে দেহগুলির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
- পরিবারের সবথেকে বয়স্ক সদস্য 77 বছরের নারায়ণ দেবীর দেহ উদ্ধার করা হয় মেঝে থেকে।
- এছাড়া আর যাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, তাঁরা হলেন নারায়ণ দেবীর কন্যা প্রতিভা (57), দুই পুত্র ভবনেশ ভাটিয়া (50) ও ললিত ভাটিয়া (45)। ভবনেশের স্ত্রী সবিতা (48) এবং তাঁর তিন সন্তান মিনু (23), নীতু (25) এবং ধ্রুব (15)-এর দেহ উদ্ধার করা হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। ললিত ভাটিয়ার স্ত্রী টিনা (42) এবং তাঁদের পুত্র শিবম (15)-এর দেহ উদ্ধার করা হয় একই অবস্থায়।
- নারায়ণ দেবীর আরেক পুত্র ও কন্যা রয়েছেন। বড়ো ছেলে দীনেশ ভাটিয়া এবং কন্যা সুজাতা। যাঁরা থাকেন যথাক্রমে রাজস্থানের কোটা এবং হরিয়ানার পানিপথে।
- প্রতিভার কন্যা প্রিয়াঙ্কা (33)-র দেহও ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গত মাসেই তাঁর বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়। আইটি কর্মচারী প্রিয়াঙ্কা এই বছরের শেষে নিজের বিয়ে নিয়ে খুব উত্তেজিত ছিলেন।
- “আমি ভাবতে পারছি না যে ওরা আত্মহত্যা করেছে। সবাই কত আনন্দে ছিল। কী করে সম্ভব এটা! আমার পরিবারকে হত্যা করেছে কেউ। হত্যাকারীকে খুঁজে বের করতেই হবে পুলিশকে”। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন সুজাতা।
- সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে রাত 10:40 মিনিটে খাবার দিতে এসেছিল ওই বাড়িতে কেউ। তারপর আর কাউকে বাড়ি থেকে বেরোতে বা বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়নি।
- পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি হাতে লেখা নোট পাওয়া গিয়েছে। যা দেখে পুলিশের সন্দহ, এই ঘটনার পিছনে কোনও অতিপ্রাকৃত বিশ্বাসের প্রভাব আছে। সম্ভবত গোটা পরিবারই এই ধরনের চর্চার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল।
- যেভাবে হাত বাঁধা, মুখ বাঁধা এবং চোখ বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে, তার সঙ্গে ওই হাতে লেখা চিঠিটির সম্পর্ক আছে বলেই মনে করছে পুলিশ।
- এখনও পর্যন্ত কোনও বিশেষ একটি কারণ নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।