এলাকাবসী জানিয়েছেন, একটি আম বাগানের মধ্যে থেকে ওই যুবতীর দেহ মিলেছে (প্রতীকী ছবি)
কলকাতা: তেলেঙ্গানা গণধর্ষণ কাণ্ডের রোষে যখন পুড়ছে গোটা দেশ, তখন এ রাজ্যেও (West Bengal) এক যুবতীর দগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। মালদহ জেলার ইংলিশবাজার (Englishbazar) এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবতীর পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, প্রাথমিকভাবে অনুমান ধর্ষণ করে খুন (Raped and Murdered) করা হয়েছে তাঁকে। যদিও পুলিশ এখনও ধর্ষণের (rape) বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলছে না, তবে মহিলার গোপনাঙ্গে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে তাঁরা। এলাকার স্থানীয় মানুষ জনের মতে, বৃহস্পতিবার ধানতলা এলাকার একটি আম বাগানের কাছ থেকে ওই যুবতীর পোড়া দেহটি পাওয়া যায়। ওই এলাকারই এক বাসিন্দা অনিমেষ দাস বলেন,"আমরা বৃহস্পতিবার যুবতীর দেহটির সন্ধান পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানাই"।
বিপদে পড়া মহিলাদের অভিযোগ জানানোর জন্য কল সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজঘোড়িয়া জানান, ওই মহিলার দেহ থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে"। আমরা ময়নাতদন্তের পর ওই মহিলার মৃতদেহটি শনাক্ত করার চেষ্টা করব এবং তিনি কীভাবে মারা গেলেন তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।"
নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ দায়ের করতে কোনও বিলম্ব নয়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ডেপুটি-পুলিশ সুপার প্রশান্ত দেবনাথ জানান, ওই মহিলার গোপনাঙ্গে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। "তাঁর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে তাঁকে পুড়িয়ে মারা হয়ে ছিল"।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কীভাবে ওই আম বাগানে যুবতীর দেহটি এলো তাও খতিয়ে দেখছে তাঁরা।
এদিকে রাজ্যে মহিলাদের উপর শারীরিক নির্যাতন রুখতে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলিতে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সম্পর্কিত অভিযোগ জানানোর জন্য একটি কল সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার এক কর্মকর্তা জানান, “একটি বিশেষ টোল-ফ্রি নম্বর থাকবে। একবার ফোন পেলে কল সেন্টারের আধিকারিকরা জেলাগুলিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে সতর্ক করবেন... জেলা পুলিশ প্রশাসন তখন কর্তব্যরত নিকটস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের অবহিত করবেন।” তিনি আরও জানান যে কেন্দ্র থেকে যে নির্ভয়া তহবিল রাজ্য পেয়েছিল তার তার প্রায় ৪০ শতাংশই এই কাজে ব্যবহৃত হবে।
কলকাতা পুলিশ এবং এর আশেপাশের পুলিশ প্রশাসন ইতিমধ্যে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য নানা সুরক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পনা করেছে। কলকাতা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছে এবং মহিলাদের জন্য মোবাইল টয়লেটেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে।