বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হল নীরব মোদির আলিবাগের বাংলো
হাইলাইটস
- ৩৩ হাজার বর্গফুটের বাড়িটি ছিল অবৈধ নির্মাণ
- ডায়নামাইট ব্যবহার করে ভাঙতে হয় মজবুত থামগুলি
- ১০০ কোটি টাকা দাম ছিল ওই বাংলোর
মুম্বাই/নয়া দিল্লি: ডায়নামাইট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিমেষে ধ্বংস্তূপ করে ফেলা হল নীরব মোদির বাংলোকে (Nirav Modi Alibaug Bunglow)। মহারাষ্ট্রের আলিবাগের সমুদ্রের পাড়ে বিলাসবহুল এই বাংলো দাম ছিল প্রায় ১০০ কোটি টাকা। আজ, বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক ব্যবহার করে কোটিপতি নীরব মোদির (fugitive billionaire Nirav Modi) একশো কোটির বাড়ি ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ৩৩,০০০ বর্গ ফুট (33,000 square foot luxurious bungalow) জুড়ে বানানো বিলাসবহুল বাংলো অবৈধভাবে নির্মিত, উপকূলীয় নিয়ন্ত্রণ অঞ্চলের (violated coastal regulation zone) (সিআরজেড) বিধি এবং রাজ্যের বিধি লঙ্ঘন করেই তৈরি হয়েছিল ওই বাংলো। তবে, বাংলোর ভিত এত শক্তিশালী ছিল যে কর্তৃপক্ষ প্রথমে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এটিকে সরানোর চেষ্টা করছিলেন, যাতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়। প্রক্রিয়াটি দ্রুততর করার জন্য, তাঁরা ডায়নামাইটের নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিল্ডিংটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। রায়গড় জেলার কালেক্টর বিজয় সূর্যবংশী বলেন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ওই বাড়ি।
যোনিতে রড নয়, মগজে শিক্ষা ঢোকান.....অর্ধেক নয়, মানুষের জন্য হোক সাম্যের আসমান
বিস্ফোরকগুলি বসানোর বাংলোটির পুরু কংক্রিটের থামগুলিতে ড্রিল করা হয়। তারপর একটি প্রযুক্তিগদল বিস্ফোরকগুলিকে সেখানে বসায়।
নীরব মোদি (Nirav Modi) হলেন তাঁর কাকা মেহুল চকসির (Mehul Choksi) সঙ্গে অন্যতম দোষী যিনি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে (Rs 13,000 crore Punjab National Bank scam) জড়িত।
বাংলোটি আংশিকভাবে গ্রাউন্ড-প্লাস-এক অর্থাৎ একতলা হিসেবেই নির্মিত হয়েছিল এবং এটিতে একটি ড্রাইভওয়ে, উচ্চ ধাতব বেড়া এবং একটি বিশাল নিরাপত্তা গেট ছিল। এতে একটি সুইমিং পুল, স্লাইড এবং ব্যয়বহুল জিনিসপত্র রয়েছে। মুম্বাই থেকে ৯০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে কিহিম সমুদ্র সৈকতে (Kihim beach) অবস্থিত এই বাংলো পরিবেশগত বিধিনিষেধ বহনকারী ৫৮ টি অন্যান্য বাড়ির সঙ্গেই অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
বিষয়টি আমার কাছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো, নতুন দায়িত্ব সম্পর্কে মন্তব্য শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের
রায়গড়ের সমুদ্র সৈকতে বেআইনি বাংলো, হোটেল ও রিসর্টগুলি যেগুলি জোয়ার ভাটার সীমার (violating the high-tide and low-tide zones) বিধি না মেনেই বানানো হয়েছে, সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ২০০৯ সালে অলাভজনক সংস্থা শাম্বুরাজে যুব ক্রান্তির (Shamburaje Yuva Kranti) দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় বোম্বে হাইকোর্ট এই আদেশে দিয়েছে।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে (Rs. 13,000 crore Punjab National Bank scam) জড়িত নীরব মোদি ও তাঁর কাকা মেহুল চকসি। নীরব প্রথমে বাংলোটি না ভাঙার জন্য হাই কোর্টের শরণাপন্নও হয়েছিলেন। কিন্তু পরে মূল্যবান সামগ্রীগুলি সরিয়ে নেওয়ার পরে পর ইডি জেলা প্রশাসনকে ওই বাংলো হস্তান্তর করে।