নজির গড়তে চলেছেন নাসার মহাকাশ যাত্রী ক্রিস্টিনা কোচ। বর্তমান অভিযান শেষ হলে স্পেশ স্টেশনে ৩২৮ দিন থাকা হবে তাঁর। ক্রিস্টিনার আগে কোনও মহিলা এ কাজ করতে পারেননি। মার্চ মাসের ১৪ তারিখ স্পেশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ফেরার কথা পরের বছর ফেব্রুয়ারি মাসে। এর আগে ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত স্পেশ স্টেশনে ২৮৮ দিন কাটিয়ে ছিলেন পেগী উইনস্টন। কিন্তু এবার সেই রেকর্ড ভাঙতে চলেছে। এদিকে পুরুষদের মধ্যে ৩৪০ দিন স্পেশ স্টেশনে থেকে রেকর্ড করেছেন স্কট কেলি। ২০১৫-২০১৬ সালের মধ্যে স্পেশ স্টেশনে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে নাসা এবং আইএসএস স্পেশ স্টেশনে অভিযানের জন্য নতুন সময় সূচি তৈরি করেছেন আর সেই মতো এরপরে স্পেশ স্টেশনে যাবেন জেসিকা মেয়ের।
কয়েক দিন আগেই মহাকাশের শক্তিধর রাষ্ট্র হয়েছে ভারত। তারও আগে ঠিক হয়েছে ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠাবে ভারত। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে যাতে এই কাজ করা যায় তার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। ইসরোর প্রধান কে সিভান বলেছেন এই অভিযান সফল হলে গোটা পৃথিবীর মধ্যে মহাকাশ চর্চায় অনেকটা এগিয়ে যাবে ভারত। মহাকাশে মানুষ পাঠানো দেশ হিসেবে চতুর্থ হবে ভারত।
এ ব্যাপারে প্রথম ঘোষণাটি অবশ্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিতে গিয়ে মহাকাশ মানুষ পঠানোর কথা বলেন মোদী। কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ২০২২ সালে মহাকাশে যাবেন মহাকাশচারীরা। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান ২০২২ সালে সাত দিনের জন্য মহাশূন্যে যাবেন ভারতীয় মহাকাশচারীদের একটি দল। প্রকল্পের জন্য দশ হাজার কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে।
এখন থেকেই ঠিক করা হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী হরিকোটা থেকেই বড় রকেটে চড়ে মহাকাশে উড়ে যাবেন মহাকাশ চারীরা। তাছাড়া এই অভিযান যাতে সফল হয় তার জন্য ফ্রান্স ওই রাশিয়া ভারতকে সাহায্য করবে বলে জানা গিয়েছে।‘হিউম্যান স্পেশ ফ্লাইট' নির্মাণ করতে এ পর্যন্ত ১৭৩ কোটি টাকা খরচ করে ভারত।