Read in English
This Article is From Jan 09, 2020

CAA নিয়ে বক্তব্য রাখতে আসা বিজেপি সাংসদকে ৬ ঘণ্টা আটকে রাখল বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা

“স্পষ্টতই, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্ববিদ্যালয়ে গৈরিকিকরণের প্রয়াস চলছে,” বলেন বক্তব্যটি যেখানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সেই সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে ধর্নায় বসা কয়েকজন পড়ুয়া।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

রাত ৯ টা নাগাদ পড়ুয়ারা তাদের ধর্না শেষ করেন।

কলকাতা :

“CAA ২০১৯: বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা” শীর্ষক বক্তৃতা দিতে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী (Viswa Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ (BJP Rajya Sabha MP) স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta)। কবিগুরুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কিত আইন নিয়ে বক্তব্য দিতে আসা ওই বক্তাকেই বুধবার ছয় ঘণ্টা ধরে একটি ঘরে আটকে রাখল বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য কেন এই বিষয়ে বক্তৃতা দিতে কেবল বিজেপির মুখপাত্রকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির বক্তাদের না ডাকার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন পড়ুয়ারা।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA), জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (NRC) এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধনের (NPR) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য শিক্ষার্থীদের একটি অংশ শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ভারত বনধকেও সমর্থন জানিয়েছিল, সেই একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। 

“প্রচারের কৌশল নয়”, দীপিকা পাড়ুকোনকে নিয়ে বললেন অনুরাগ কাশ্যপ

Advertisement

বিকেল ৫ টা নাগাদ স্বপন দাশগুপ্ত টুইট করেন;

“সংঘর্ষের জন্য বাইরে জনতা চিত্কার করছে, উস্কানি দেওয়া হচ্ছে,” কয়েক ঘণ্টা বাদে ফের টুইট করেন তিনি।

স্বপন দাশগুপ্তের কোনও ক্ষতি হলে গুরুতর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।

Advertisement

রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও টুইট করে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সারা বাংলা জুড়ে ক্যাম্পাসে ক্রমবর্ধমান ‘অনাচার' দেখে হতাশাও প্রকাশ করে লিখেছেন, “ঘটনাটি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটারই প্রতিফলন। এটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় যে প্রশাসন কিচ্ছু করছে না। বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখার সময় এসেছে।”

রাত ৯ টা নাগাদ পড়ুয়ারা তাদের ধর্না শেষ করেন।

“স্পষ্টতই, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্ববিদ্যালয়ে গৈরিকিকরণের প্রয়াস চলছে,” বলেন বক্তব্যটি যেখানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সেই সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে ধর্নায় বসা কয়েকজন পড়ুয়া।

Advertisement

“তবে আমরা আমাদের প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছি। তবুও দেরি হয়েই গেছে এবং আমরা আমাদের সুরক্ষা নিয়ে বেশ চিন্তিত,” বলেন আরেক পড়ুয়া।

কিছু পড়ুয়া দাবি করেছেন যে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণ চালানোর জন্য লোক জড়ো করছে।

Advertisement

"আমাকে গাড়ির পিছনে টেনে নিয়ে পেটানো হয়েছে", নতুন অভিযোগে দাবি ঐশী ঘোষের

শিক্ষকদের একটি অংশ এর আগে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে লিখিতভাবে দাবি জানিয়েছিল যে বক্তৃতার দিনটি পরিবর্তন করতে হবে কারণ ওই একই দিনে শ্রমিক সংগঠনের ডাকে ভারত বনধ রয়েছে এবং একজন ব্যক্তির বক্তৃতার পরিবর্তে সেমিনার বা প্যানেল গড়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত করা হোক।

Advertisement

কমিটির এক সদস্য বলেন, “বিশ্বভারতীতে বক্তৃতার জন্য কাকে আমন্ত্রণ জানাতে হবে তা নির্ধারণ করার জন্য একটি কমিটি রয়েছে। তবে কোনও আলোচনাই নেই। স্বপন দাশগুপ্তকে আমন্ত্রণ করার সময় এই কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি।"

লিপিকা অডিটোরিয়াম থেকে সোস্যাল সায়েন্সেস ভবনে বিনা নোটিশে অনুষ্ঠানের স্থলটি যেভাবে বদলানো হয়েছিল, তার তীব্র নিন্দাও জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

স্বপন দাশগুপ্ত এবং উপাচার্য শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে দশটার দিকে ক্যাম্পাস ছেড়ে বেরোন।

Advertisement