தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Dec 18, 2019

সুপ্রিম কোর্টে আজ নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত ৬০টি আবেদনের শুনানি

Jamia Protests:আবেদনকারীদের মধ্যে আছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ এবং অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপির সহযোগী দল অসম গণ পরিষদ

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Jamia Protests: এই আইনের প্রতিবাদে দিল্লির জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখায়

Highlights

  • সুপ্রিম কোর্টে বুধবার নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মামলার শুনানি
  • প্রায় ৬০টি আবেদন জমা পড়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে
  • গত সপ্তাহেই এই নয়া আইনটিতে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি
নয়া দিল্লি:

গত সপ্তাহেই পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Law), আর তারপর থেকেই এই আইন নিয়ে দেশ জুড়ে উঠেছে বিক্ষোভের ঝড়। নয়া এই আইনের (Citizenship Amendment Act CAA) বিরোধিতা করে প্রায় ৬০টি আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court)। আজ (বুধবার) সেই মামলার শুনানি। বিতর্কিত আইনটির বিরোধিতা করে আরো অনেকের মতো দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ এবং অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপির সহযোগী দল অসম গণ পরিষদ। ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হবে। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিআর গাভাই এবং সূর্য কান্ত।

নতুন নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে সব অমুসলিম মানুষরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা এবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনকারীরা যুক্তি দেখিয়েছেন যে, ধর্মের ভিত্তিকে কখনোই নাগরিকত্ব প্রদান করা যায় না। তাঁরা আরও বলেন যে, নতুন আইনটির মাধ্যমে ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করে অবৈধ অভিবাসীদের দেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী। এই আইন নাগরিকদের জীবন ও মৌলিক অধিকার তথা সাম্যের অধিকার লঙ্ঘন করে।

Advertisement

৮ রাজ্যের হিন্দুদের জন্য সংখ্যালঘুদের সুবিধা চাওয়ার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

গত বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই আইনে স্বাক্ষর করার পরেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়। বিশেষত  দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, বাংলা এবং দিল্লিতে এই আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। অসমে বিক্ষোভের পর ঘটা হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

এদিকে দিল্লিতে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রবিবার প্রতিবাদ মিছিল করার সময় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে। পুলিশ ওই পদযাত্রা থামানোর চেষ্টা করলে তাঁদের লক্ষ্য করে কেউ বা কারা পাথর ছুঁড়ে মারে, পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাস এবং দু'চাকার গাড়িও। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা অনুমতিতে পুলিশ ঢোকে, এমন অভিযোগেও উত্তাল হয় রাজধানী। শতাধিক শিক্ষার্থীকে আটকেও রাখে দিল্লি পুলিশ, পরে যদিও তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও আছড়ে পড়ে প্রতিবাদের ঝড়।

 ‘‘যা কিছুই হোক না কেন'': নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পিছু হটবেন না, জানালেন অমিত শাহ

Advertisement

মঙ্গলবারও অব্যাহত ছিল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং দিল্লিতে এই বিক্ষোভ ঘিরে ফের হিংসা ছড়ায়। উত্তর-পূর্ব দিল্লির সিলামপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় শিক্ষার্থীরা একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলেও সামিল হয়।

এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, ৩ জনেই ঘোষণা করেছেন যে তাঁরা তাঁদের রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি প্রয়োগ করতে দেবেন না।

Advertisement

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, দেখে নিন এই ভিডিও:

  .  

Advertisement