Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীরে গত অগাস্ট থেকে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়
হাইলাইটস
- জম্মু ও কাশ্মীরে টু-জি ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর ঘোষণায় খুশি আমেরিকা
- এই ঘটনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিবিদ
- আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পক্ষেও সওয়াল তাঁর
নয়া দিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হওয়ার সরকারি ঘোষণায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মার্কিন কূটনীতিবিদ অ্যালিস ওয়েলস। তবে যেভাবে প্রায় ৬ মাসের উপর কাশ্মীর উপত্যকার স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখা হয়েছে সে সম্বন্ধে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই নেতাদের মুক্তির দাবিতেও সওয়াল করেন তিনি (Alice Wells) । শনিবার থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়। তবে ওই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে (Jammu and Kashmir) ইন্টারনেট চালু হলেও কিছু নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে। যেমন, সব ওয়েবসাইট নয়, শুধুমাত্র ৩০১টি ওয়েবসাইটগুলিরই ইন্টারনেট অ্যাক্সেস থাকবে উপত্যকার বাসিন্দাদের কাছে। পাশাপাশি আপাতত সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্যে বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, কোনও গুজব বা উস্কানিমূলক বার্তা যাতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উপত্যকা অঞ্চলে (Kashmir) ছড়িয়ে না পড়ে তাই জন্যেই ওই সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন।
"কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিক ভাবে চালু হওয়ার পদক্ষেপ দেখে আমি সন্তুষ্ট। আমরা আমাদের কূটনীতিকদের নিয়মিত প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্যে এবং বিনা অভিযোগে আটক নেতাদের মুক্তি দেওয়ার জন্যে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ করব", বলেন মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক অ্যালিস ওয়েলস।
Jammu and Kashmir: ভূস্বর্গে ফিরছে টু-জি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাও
এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে করা একটি মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। "যে কোনও গণতান্ত্রিক অধিকারের বৈধ অভিব্যক্তি বা অভিযোগের বিরোধিতা" লঙ্ঘন আটকাতে যেভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেই বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্যে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। "১৪৪ ধারাকে কোনও গণতান্ত্রিক অধিকারের বৈধ মতামত বা অভিযোগ রোধ করার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। সংবিধান সবসময় বিভিন্ন ধরণের দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশকে স্বাগত জানিয়েছে ... কিন্তু সহিংসতা বা জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে আশঙ্কা এড়াতে কোনওভাবেই দিনের পর দিন ১৪৪ ধারা জারি রাখাকে মেনে নেওয়া যায় না", এই কথা জানায় আদালত। বিচারপতি এনভি রমনা, আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিআর গাওয়াই সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ ইন্টারনেটের অধিকারকেও বাকস্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতার অংশ হিসাবে উল্লেখ করে অনির্দিষ্টকালের জন্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা নিয়েও সরকারের সমালোচনা করে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে পদক্ষেপ করছে তারা।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা' তুলে নিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। এরপর থেকেই সেখানে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় যে কোনও বড় জমায়েতেও। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
Jammu and Kashmir: ইমরানের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের
তবে জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যেভাবে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ চলছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক অ্যালিস ওয়েলস। সিএএ-এর আওতায় সমান সুরক্ষার নীতির উপর জোর দেন তিনি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে ২০১৫ এর আগে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর এই নিয়মকেই বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছ বিরোধী দলগুলি।