CAA পুরোপুরি গণতান্ত্রিক উপায়ে গৃহীত হয়েছে, সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার
হাইলাইটস
- সিএএ নিয়ে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপের মুখে ভারত
- জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইইউ
- "পুরো বিষয়টিই অভ্যন্তরীণ", সাফ জানিয়েছে ভারত
নয়া দিল্লি: আগামী মার্চ মাসে ভারত-ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেল যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তার আগে তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় (CAA Protest) ইইউ-পার্লামেন্টে প্রস্তাব পেশ হল। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রস্তাব (EU on Citizenship Amendment Act) পেশের বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয় ভারত, সিএএ (Citizenship Amendment Act) এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি "পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ বিষয়" বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৭৫১ জন সদস্যের মধ্যে ৬২৬ জন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গে ৬টি বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেছে। ইইউ-পার্লামেন্টের বহু সাংসদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, "যে পন্থা অবলম্বন করে ভারত সরকার সিএএ লাগু করেছে, তা গোটা বিশ্বে বৃহত্তরভাবে রাষ্ট্রহীনতার আশঙ্কা তৈরি করবে। যার কারণে বাড়বে মানুষের দুর্ভোগ।"
যদিও সরকারি সূত্র মতে খবর, ভারতের তরফ থেকে তাঁদের এই উদ্বেগ খারিজ করে দিয়ে বলা হয়েছে সব রকম নিয়ম মেনেই এই আইনটি লাগু হয়েছে। তাছাড়াও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগুর বিষয়টিকে "সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ" বিষয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় সংসদের উভয় কক্ষে "যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে এবং পুরোপুরি গণতান্ত্রিক উপায়ে" সিএএ গৃহীত হয়েছে বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
"বৃহত্তর রাষ্ট্রহীনতার সঙ্কট", পূর্বাভাস দিল ইইউ'র CAA-বিরোধী খসড়া
পাশাপাশি সিএএ'-এর প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে মোদি সরকার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তারও তীব্র নিন্দা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সোশ্যালিস্ট অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস গ্রুপ।
ইইউ ভারত সরকারের উদ্দেশে বলেছে, জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সব নাগরিকের অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে। সেই আইনের কথা যেন ভারত মাথায় রাখে। ইইউ ‘সিএএ'-এর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা এবং এ ব্যাপারে তাঁদের দাবি শোনার জন্যেও ভারত সরকারকে আবেদন জানাতে চলেছে বলে খবর।
"জাতির আত্মা হুমকির মুখে", CAA-বিরোধী নোটে লিখলেন নাসিরুদ্দিন শাহ, মীরা নায়ার-সহ ৩০০জন বিশিষ্ট
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সিএএ'র মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হয়েছে। এছাড়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ও চুক্তি লঙ্ঘন করে যার অধীনে জাতি, বর্ণ, বংশোদ্ভূত বা জাতীয় বা জাতিগত উৎসের ভিত্তিতে বৈষম্য করা যায় না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নর্ডিক গ্রিন লেফট, কাশ্মীরের উপর জারি রাজনৈতিক অবরুদ্ধকরণ এবং ইন্টারনেট নিয়ে বিধিনিষেধ জারির পাশাপাশি যেভাবে ৫ অগাস্ট রাতারাতি কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তারও নিন্দা করেছে।