This Article is From Jan 13, 2020

প্রথম এনডিএ শরিক হিসেবে সিএএ পর্যালোচনার ডাক দিলেন নীতীশ কুমার!

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সে রাজ্যে এনআরসি লাগুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ।

CAA আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পর, JDU প্রথম এনডিএ শরিক, যে ঘুরিয়ে এই আইন পর্যালোচনার পক্ষে সওয়াল করল

হাইলাইটস

  • নীতীশ কুমার প্রথম এনডিএ শরিক, যিনি এই আইন পর্যালোচনার ডাক দিলেন
  • বিহারে এনআরসি হবে না, সোমবার জানান তিনি
  • সিএএ-তে মুলিমদের আওতাভুক্ত করার ডাক দিয়েছে শিরোমণি অকালি দল
পাটনা:

সিএএ (CAA) নিয়ে বিহার বিধানসভায় আলোচনা হওয়া উচিত। দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে সোমবার মন্তব্য করলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। পাশাপাশি বিহারে এনআরসি (NRC) লাগুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বিহার বিধানসভার (Assembly) বিশেষ অধিবেশনে এদিন বিরোধী কংগ্রেস আর আরজেডি, সিএএ'র সমালোচনায় সরব হয়েছিল। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল বিহারের (BIhar) মুখ্যমন্ত্রীর নীরব থাকা নিয়ে। সেই সমালোচনার জবাবে সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান বলেন, "যদি সবাই চায়, তাহলে বিধানসভায় সিএএ নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। আর এনআরসি প্রসঙ্গে বলতে চাই, এর কোনও যৌক্তিকতা নেই. বিহারে এই প্রক্রিয়া লাগু করার প্রশ্নও নেই।"

সিএএ আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পর, জেডিইউ প্রথম এনডিএ শরিক, যে ঘুরিয়ে এই আইন পর্যালোচনার পক্ষে সওয়াল করল। এর আগে সে দলের সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর, বিজেপি তথা কেন্দ্রকে এই আইন রূপায়ণের বিরোধিতা করে আক্রমণ করে গিয়েছেন। কিন্তু একদম চুপ ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ক্রমাগত টুইট (Tweet) করে বিহারে দলের শরিক বিজেপির ওপর নানাভাবে চাপ বাড়িয়ে গিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।  

"দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য": দিলীপের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বাবুল সুপ্রিয়

"সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে উত্তরপ্রদেশের মতোই গুলি করা উচিত": দিলীপ ঘোষ

যদিও সংসদে সিএ বিল পাস করতে বিজেপিকে সাহায্য করেছে জেডিইউ। তবে রবিবার প্রশান্ত কিশোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। বিহারে সিএএ, এনআরসি লাগু হবে না।  ঠিক তার পরের দিন সিএএ ও এনআরসি নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী সরব হলেন। যদিও গত বছরে দলের বৈঠকে নীতিশ কুমার সিএএ-র সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। 

এদিকে এনডিএ'র অপর শরিক শিরোমণি অকালি দল সিএএ-তে মুসলিম সংরক্ষণ দাবি করেছে। দলের নেতা সুখবির সিং বাদল বলেন, "অকালি দল চায় মুসলিমরাও এই আইনের আওয়াতভুক্ত হোক। শুধু শিখ না, আমরা সব ধর্মের উন্নয়নের পক্ষেই সওয়াল করি।" জানা গেছে, সিএএ এই প্রথম দেশের নাগরিকত্বের প্রমাণ নেবে। সরকারি সূত্র বলেছে, এই আইন ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে তিন পড়শি মুসলিম রাষ্ট্র থেকে এদেশে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেবে। আর বিরোধীরা বলছে এটা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। ইতিমধ্যে এই আইনের বিরোধিতা করে উত্তাল হয়েছিল দেশ। প্রায় সবক'টি  মেট্রো শহরে ছড়িয়েছিল বিক্ষোভের আঁচ। সব চেয়ে হিংসাত্মক আন্দোলন দেখেছে উত্তর প্রদেশ। সে রাজ্যে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে প্রাণহানির খবরও মিলেছে।  

.