অসম চুক্তির লঙ্ঘন করেনি বিজেপি, দাবি হিমন্ত বিশ্ব শর্মার।
গুয়াহাটি: অসমের (Assam) মন্ত্রী ও রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন (CAA) প্রয়োগে বিজেপির অন্যতম কৌশলী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) জানালেন, ‘অসম চুক্তি'-তে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের কথা বলা হয়নি। সেখানে ১৯৬৬ সালের কথা বলা হয়েছিল। গতকাল বিধানসভায় তিনি দাবি করেন, ‘‘অসম চুক্তি। চার পাতার এক নথি সেটা ফুল প্রুফ নয়। এর মধ্যে অনেক অমীমাংসিত সমস্যা রয়েছে। এটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে। আমরা অসম চুক্তি লঙ্ঘন করিনি। আমরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে অসম চুক্তির অমীমাংসিত সমস্যার কথা বলেছি।'' তিনি বলেন, ‘‘১৯৭১ সাল কবে অসম চুক্তিতে বিভাজনের সাল বলা হল? কোনও ধারায় এটা লেখা রয়েছে? চুক্তিতে বিভাজনের তারিখ হল ১৯৬৬। ওই সালের পর থেকে আসা বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের কথা বলা হয়েছে। অসম চুক্তি জানাচ্ছে, ১৯৬৬ সালের ভোটার তালিকা হল এনআরসির ভিত্তি।''
আমার বক্তব্য পরিষ্কার করে বলা, CAA নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে সত্য নাদেল্লা
অসম চুক্তির লঙ্ঘন করেছে বিজেপি— এই অভিযোগ ওঠার পর একথা জানালেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। // ১৯৮৫ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি হয়েছিল রাজীব গান্ধির কংগ্রেস সরকারের আমলে। সেখানে বলা হয়েছিল, ১৯৭১ সালের মার্চের পরে যাঁরা অসমে ঢুকেছে তাঁদের বহিষ্কৃত করা হবে। যাঁরা ১৯৬৬ সালের আগে এসেছে তাঁদের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার দেওয়া হবে। যে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে অসমে ঢুকেছেন, তাঁদের এক দশক থাকতে হবে নাগরিক হওয়ার জন্য।
জোর করে নয়, শাহিনবাগের অবরোধ তুলতে বুঝিয়ে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ পুলিশকে: সূত্র
প্রতিবাদীদের দাবি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে সেই সময়কে ৪৩ বছর এগিয়ে এনে ২০১৪ সাল করা হয়েছে। সেখানে ২০১৪ সালের মধ্যে এদেশে আসা অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
হিমন্ত আরও জানিয়েছেন, আসু (অসমের ছাত্র সংগঠন) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মধ্যে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল পেশের আগে বৈঠক হয়। সেই বৈঠক মীমাংসাহীন ছিল। তিনি জানাচ্ছে, অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, অসমে ৭০ লক্ষ শরণার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ লক্ষ হিন্দু, যাঁদের শিকড় বাংলাদেশে। আসু জানিয়েছিল, তারা অসম চুক্তির কোনও লঙ্ঘন চায় না।
নাগরিকত্ব বিলের জন্য বিজেপিকে প্রবল বিরোধের মুখোমুখি হতে হয় অসমে। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে অসম গণ পরিষদ জোট ভেঙে বেরিয়ে আসে। পরে তারা জোটে ফিরে এলেও জানিয়ে দেয় তারা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধ চালিয়ে যাবে।