This Article is From Jan 31, 2020

CAA: "মুসলিমরা ভারতেরই নাগরিক", নাগরিক আইন নিয়ে এনডিএ বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী

সিএএ' র (CAA) সমর্থনে এগিয়ে আসতে এনডিএ শরিকদের আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার সংসদে বিজেপির শরিক (NDA) দলগুলোর সাংসদদের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানা তিনি।

CAA:

এনডিএ শরিক অন্য দলের সাংসদদের এই আইনের সমর্থনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

হাইলাইটস

  • সিএএ' র সমর্থনে এনডিএ'র শরিক দলগুলোকে আরও আক্রমণাত্মক হতে আবেদন মোদির
  • এনডিএ'র এক বৈঠকে এই আবেদন করেছেন তিনি
  • "মুসলিমরা এদেশেরই নাগরিক", ওই বৈঠকে জানিয়েছেন তিনি
নয়াদিল্লি:

সিএএ' র (CAA) সমর্থনে এগিয়ে আসতে এনডিএ শরিকদের আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার সংসদে বিজেপির শরিক (NDA) দলগুলোর সাংসদদের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানা তিনি। "যারা বলবে সিএএ বিভেদমূলক, তাঁদের বিরোধিতা করুন," এনডিএ শরিকদের এমন পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)। বাজেট অধিবেশনে ট্রেজারি বেঞ্চের ভূমিকা কী থাকবে? এই বিষয়ে আলোচনা করতে শরিক দলগুলোকে সংসদের সেন্ট্রাল হলে বৈঠকে ডাকেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই তিনি এমন আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, "কিছু মানুষ নাগরিক আইন নিয়ে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তাঁদের প্রতিহত করতে হবে। মুসলিমরাও আমদের দেশের নাগরিক। ওদের সমান অধিকার ও কর্তব্য আছে।" এই বৈঠকে এনডিএ শরিকরা একটা প্রস্তাব পাস করান। সেই প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করে বলা, "নাগরিক আইন পাস করিয়ে মহাত্মা গান্ধির স্বপ্নপূরণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি।" পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ, বড় শান্তি চুক্তি, কর্তারপুর করিডর নির্মাণ প্রসঙ্গে সহমত জানিয়েছেন এনডিএ শরিক দলের সাংসদরা। 

"বাজেট অধিবেশনে অর্থনীতি নিয়ে বিশদ আলোচনার আশা রাখছি": প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi

এদিকে, একদিকে শাসক বিজেপির (BJP) প্রশংসার করতালি, অন্যদিকে বিরোধী দলের ‘‘শেম শেম'' ধ্বনি। শুক্রবার সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল বা সিএএ (CAA) নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ram Nath Kovind) প্রতিক্রিয়ায় এভাবেই ভিন্ন ছবি দেখা গেল। এদিন সিএএ-র প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, "আমাদের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধিজি দেশভাগের পরে বলেছিলেন যে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যদি  এ দেশে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করে তবে তাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত। আমাদের জাতির জনকের সেই ইচ্ছাকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে। আমি তৃপ্ত এই জন্যে যে বাপুর ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য সংসদের উভয় কক্ষের সাংসদরা মিলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি পাস করেছেন।"

রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ডেস্ক চাপড়ে প্রশংসা ব্যক্ত করেন বিজেপি সাংসদরা। কিন্তু একই সঙ্গে শুরু হয় বিরোধীদের ‘‘শেম শেম'' ধ্বনি।এদিন সংসদের যৌথ অধিবেশনে বাজেট অধিবেশনের প্রথাগত সূচনা হয় রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্যে দিয়ে। বিরোধীরা প্রতিবাদে সামনের আসন ত্যাগ করে। কেবলমাত্র প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সেখানে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে। কংগ্রেসের অন্তবর্তী সভাপতি সনিয়া গান্ধি যদিও পিছনের সারিতে কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গে বসেছিলেন।

তাঁর ভাষণের শুরুতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘আমার সরকার জনাদেশ পেয়েছে ‘নতুন ভারত' তৈরি করার জন্য। আমার সরকার সেটাই করার চেষ্টা করছে।'' রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘কোনও কিছু হওয়ার আগে সবার প্রথমে আমরা ভারতের নাগরিক। এবং নাগরিক হিসেবে ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আকাঙ্ক্ষার আগে থাকে দেশ।''

"পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ", ইউরোপীয় ইউনিয়নের CAA বিরোধী প্রস্তাবে বলল ভারত

অপরদিকে, ইউরোপীয় সংসদে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) লাগু নিয়ে বিরোধী প্রস্তাব উত্থাপন হলেও শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার তা নিয়ে ভোটাভুটি না করারই সিদ্ধান্ত নিল তাঁরা। আর এই সিদ্ধান্তকেই নিজেদের "কূটনৈতিক জয়" হিসাবে দেখছে মোদি সরকার। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৭৫১ জন সদস্যের মধ্যে ৫৬০ জন সাংসদ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) এবং জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গে ৬ টি বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে "বৈষম্যমূলক ও বিপজ্জনকভাবে বিভেদমূলক" বলে প্রস্তাব পেশ হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদে (EU Parliament on CAA), সেই বিষয়েই বুধবার দিনভর তর্ক-বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই ভোটাভুটি থেকে পিছিয়ে এল ইউরোপীয় সংসদ। তবে "জাতীয়তাবাদের নামে দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য বাড়ছে", এই বলে ভারতকে সতর্ক করেছে ইইউ সংসদ (European Parliament)।

(PTI থেকে সংগৃহীত)

.