Read in English தமிழில் படிக்க
This Article is From Mar 01, 2020

শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের মিছিল! বাড়ানো হল পুলিশি নিরাপত্তা

রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে শাহিনবাগ। তাই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়ানো হল এলাকার নিরাপত্তা।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

শাহিনবাগ: প্রায় দু'মাস ধরে সিএএ'র বিরোধিতায় প্রতিবাদ চলছে।(ফাইল)

Highlights

  • রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে শাহিনবাগ
  • তাই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আটকাতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা
  • এমন জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের শীর্ষকর্তা
নয়া দিল্লি :

রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ প্রতিবাদ মিছিলের (Protest March) ডাক দিয়েছে শাহিনবাগ (Shaheen Bagh)। তাই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়ানো হল এলাকার নিরাপত্তা। দক্ষিণ দিল্লির এই এলাকারা বাসিন্দারা প্রায় দু'মাস তাঁবু খাটিয়ে, সিএএ'র (Anti-CAA) বিরোধিতায় সরব। তবে, হিন্দু সেনা নামে এক সংগঠনও এদিন শাহিনবাগে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল। যদিও পরে সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। তাই দু'পক্ষের এই জোড়া মিছিল থেকে উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, সেটা নিশ্চিত করতে শনিবার থেকেই দিল্লি পুলিশের তরফে (Delhi Police) নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছ শাহিনবাগের। এলাকায় বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে দিল্লি পুলিশ। শীর্ষ পুলিশকর্তা ডিসি শ্রীবাস্তব বলেছেন, "সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শাহিনবাগে পুলিশি ঘেরাটোপ বাড়ানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বাড়তে না দেওয়া।" 

৪ দিন ধরে কেন চলল হিংসা, দিল্লি পুলিশের কল রেকর্ড ঘেঁটে মিলছে সূত্র

শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের দাবি, "গত মাসে তাঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে মিছিল বের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশি বাধা পেয়ে ফের প্রতিবাদস্থলে ফিরে এসেছিলেন।" শাহিনবাগের যে এলাকা অবরুদ্ধ করে প্রতিবাদ চলছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়কের লিঙ্ক রোড। অভিযোগ, দীর্ঘদিন সে রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে অসুবিধা হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। এমনকি, এলাকার কয়েকটি দোকান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে ব্যবসা। শাহিনবাগ থেকে প্রতিবাদীদের হটাতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলার শুনানি চলছে শীর্ষ আদালতে। মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করেছে আদালত। 

"অকর্মণ্য নাকি প্রশ্রয়দাতা?" দিল্লি হিংসায় পুলিশের ভূমিকায় সরব অমর্ত্য সেন

এদিকে, গত ডিসেম্বরে আইনে পরিণত হয় সিএএ বিল। সরকারের দাবি, "এই আইন কারও নাগরিকত্ব কাড়বে না। বরং তিন পড়শি মুসলিম দেশ থেকে ভারতের শরণে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেবে।" বিরোধীদের আবার অভিযোগ, "এই আইন মুলসিমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক। এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।" এই টানাপোড়েনে গোটা ডিসেম্বর মাস সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে তপ্ত থেকেছে দেশের একাধিক মেট্রো শহর। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন বহু। গুরুতর জখম হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। 

Advertisement
Advertisement