Read in English
This Article is From Dec 21, 2019

সিএএ বিভ্রান্তি দূর করতে জনসংযোগে জোর বিজেপির

এমনকী শুক্রবার গভীর রাতে দিল্লির জামা মসজিদ থেকে ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেদিন দুপুরের পর থেকে জামা মসজিদ চত্বরে চলা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Posted by
New Delhi:

বেড়ে চলা বিক্ষোভের মধ্যে সিএএ নিয়ে নাগরিকদের বোঝাতে জনসংযোগের পথে হাঁটবে বিজেপি। মূলত; সিএএ নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করতেই এই রাজনৈতিক পন্থা, বলে বিজেপি শিবিরের খবর। জানা গেছে, গোটা দেশের প্রায় তিন কোটি পরিবারের কাছে সিএএ-বার্তা আগামি দশ দিনের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। যার মধ্যে একাধিক পদযাত্রা ও প্রায় তিনশোর মতো সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করবে গেরুয়া শিবির। দিল্লিতে শনিবার বিজেপি সাংসদ জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই জনসংযোগের এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, "বিরোধী শিবির মূলত কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচার নস্যাৎ করতেই এই কর্মসূচি।" এব্যাপারে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের একটা ভিডিওর প্রসঙ্গ তুলেছেন। যে ভিডিওতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এনআরসি'র পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গেছে। জানা গেছে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের প্রধান শাসক দল। বুধবার সিএএ-বিরোধী এক মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে বলেছিল: সিএএ সম্বন্ধে মানুষকে অবগত করতে অডিও-ভিজুয়াল মাধ্যমের সাহায্য নেওয়া হোক। তারপরেই দলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত। 

সিএএ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে প্রায় ৫৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে দিন যত গড়াচ্ছে হিংসাত্মক আকার নিচ্ছে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন। শুক্রবার নমাজের পর উত্তরপ্রদেশে এই আন্দোলনের বলি  প্রায় ১৩ জন। গত বৃহস্পতিবার লখনউ ও সম্বল থেকে একজন করে মোট দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা এখন ১৫। এমনকী শুক্রবার গভীর রাতে দিল্লির জামা মসজিদ থেকে ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেদিন দুপুরের পর থেকে জামা মসজিদ চত্বরে চলা বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছিল তাঁকে। 

কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধি আবার শুক্রবার একটা ভিডিও বার্তায় সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে জোর করে দমানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। তার মধ্যেই উত্তর-পূর্ব ছাড়িয়ে এই আন্দোলন এখন উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, ব্যাঙ্গালুরু, ম্যাঙ্গালুরু; মুম্বই ও হায়দরাবাদে এর প্রতিবাদে পথে নেমেছেন নাগরিকরা। সিএএ মূলত অমুসলিম সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেবে। মুসলিম অধ্যুষিত পড়শি দেশগুলো থেকে ধর্মের ভিত্তিতে বাস্তুহারা উদ্বাস্তুদের ঘর দিতে এই উদ্যোগ বলেই খবর। যদিও বিরোধী শিবির একে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ এবং সাংবাদিকের মৌলিক  কাঠামোর ওপর আঘাত বলে অভিযোগ তুলেছে।
 

Advertisement