CAA Protest: হিমাচলে ক্ষমতায় আসার দুবছর পূর্তির অনুষ্ঠানে শিমলায় সভায় বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ।
নয়াদিল্লি: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেসকে নয়া বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), তিনি বলেন, এর আগে, “আলিয়া-মালিয়া-জামালিয়া” (Aalia-Malia-Jamalia) পাকিস্তান (Pakistan) থেকে আসত প্রত্যেকদিন এবং “ভারতীয় সেনাদের মারত”, তবে তা থামিয়েছে বিজেপি। তিনি বলেন, সেখানকার মাটিতে হানা দিয়ে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে পেরেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। অমিত শাহ বলেন, “কংগ্রেস ১০ বছর শাসন করেছে। ক্ষমতায় ছিল সনিয়া গান্ধি-মনমোহন সিং সরকার। প্রতিদিন পাকিস্তান থেকে আলিয়া-মালিয়া-জামালিয়া আসত, আমাদের জওয়ানদের মাথা কেটে নিয়ে যেত, নীরব থাকতেন দেশের প্রধানমন্ত্রী”। হিমাচলে ক্ষমতায় আসার দুবছর পূর্তির অনুষ্ঠানে শিমলায় সভায় বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তারা সীমান্ত খুলে রাখত। যখন নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এলেন, পাকিস্তান ভাবল, এভাবেই চলবে। তারা বুঝতে পারেনি, এটা কংগ্রেস সরকার নয়...এটা বিজেপি সরকার। মৌনিবাবা মনমোহন সিং আর প্রধানমন্ত্রী নন, ৫৬ ইঞ্চির ছাতি নরেন্দ্র মোদির। উরি, পুলওয়ামায় হামলা চালিয়ে তারা বিরাট বড় ভুল করেছে। তবে মোদি সরকার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বিমান হানা করে দেখিয়ে দিয়েছে। তাদের ঘরে ঢুকে সেখানকার জঙ্গিদের ওপর আমরা হামলা চালিয়েছি”।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভ, প্রতিবাদের মধ্যেই, জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জী এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি নিয়ে বাখ্যা দেন অমিত শাহ, বিরোধী দল এবং অন্যান্য আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, এই প্রকল্পগুলি মুসলিমদের টার্টেগ করতে ব্যবহার করা হতে পারে, ব্যাখা দেওয়ার পাশাপাশি রাহুল গান্ধির উদ্দ্যেশে চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন অমিত শাহ।
তিনি বলেন, “কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। কংগ্রেস ও তাদের সঙ্গীরা গুজব রটাচ্ছে যে, সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব, নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে কেড়ে নেওয়া হবে।
অমিত শাহ আরও বলেন, “আমি রাহুল ‘বাবা' কে চ্যালেঞ্জ করছি, একটা ধারা দেখানো হোক, যেখানে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে”।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারও নাগরিকত্ব নেড়ে নেওয়ার কোনও ধারা এই আইনে, এমনকী, তিনি সংখ্যালঘু হলেও নয়।
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে এই প্রথমবার নাগরিকত্বের জন্য জাতপাতকে রাখা হয়েছে। সরকারের দাবি, এই আইনের মাধ্যমে তিনটি অমুসলিম প্রতিবেশী দেশের ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে, যাঁরা ২০১৫-এর আগে ভারতে এসেছেন।
আন্দোলনকারী, পড়ুয়া এবং বিরোধী দল সহ অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই আইনটি মুসলিমদের প্রতি বিভাজনমূলক এবং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী।
চলতি সপ্তাহে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জীর অনুমোদন করে সরকার, তাকে এনআরসির পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সমালোচকরা, অবৈধ অনুপ্রবেশকরীদের চিহ্নিত করতে এনআরসি করার কথা বলা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, নয়া নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে সঙ্গে এনপিআর ও এনআরসিকে মুসিলমদের টার্গেট করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।