This Article is From Dec 20, 2019

বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে ILP প্রস্তাব পাস! কেন্দ্রের কাছে লাগুর প্রস্তাব মেঘালয়ের

মেঘালয় বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ILP হ'ল বিশেষ এক প্রবেশপত্র যা দেখিয়ে ভারতীয়দের সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকতে হয়।

বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে ILP প্রস্তাব পাস! কেন্দ্রের কাছে লাগুর প্রস্তাব মেঘালয়ের

দেশের উত্তর-পূর্ব অংশে এই প্রতিবাদ প্রথমে শুরু হলেও পরে তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পরে অন্যত্র

শিলং:

ইনার লাইন পারমিট (Inner Line Permit বা ILP লাগু করে মেঘালয়কে অবিলম্বে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (citizenship law) বাইরে আনা হোক! এই দাবিতেই শুক্রবার মেঘালয় সরকার (Meghalaya government) সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত এক প্রস্তাব পাঠালো কেন্দ্রের কাছে। মেঘালয় বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। ILP হ'ল বিশেষ এক প্রবেশপত্র যা দেখিয়ে ভারতীয়দের সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকতে হয়। দেশের পূর্ব প্রান্তের ওই রাজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ জমি 6th Schedule-এর অন্তর্গত। যেখানে স্বশাসিত ট্রাইবাল কাউন্সিলের শাসন চলে। যে এলাকা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বাইরে। উত্তর-পূর্বের অধিকাংশ অঞ্চলই তাই CAA-র বাইরে। শুধুমাত্র রাজ্যের রাজধানী শিলং এর অন্তর্ভুক্ত। যার জেরে হিংসাত্মক আন্দোলনে স্তব্ধ হয়ে যায় শিলং। রাতে কারফিউ এবং ইন্টারনেট ও ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাও জারি ছিল। এদিন প্রস্তাব পাসের প্রসঙ্গে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা (Chief Minister Conrad Sangma) বলেন, "আইএলপি লাগু এ রাজ্যের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। অবশেষে তা পূরণ হবে।" 

আগে অরুণাচলপ্রদেশ, মিজোরাম আর নাগাল্যান্ড আইএলপির আওতায় ছিল। কিন্তু সংশোধিত আইন পাস করে কেন্দ্র মণিপুরকে আইএলপির আওতায় এনেছে। নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর আইএলপির বাইরে ছিল। কিন্তু সদ্য সেটিও আওতাভুক্ত হয়েছে। এখন কেন্দ্র মেঘালয়ের প্রস্তাবে সাড়া দিলে, সেই রাজ্য হবে পঞ্চম রাজ্য যা ষষ্ঠ তফসিলির আওতাভুক্ত হবে। 

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর থেকেই পথে নেমেছে আম আদমি। মূলত পড়শি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে এই আইন। যা কিনা বিপদে ফেলবে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়কে। এই অভিযোগেই উত্তাল গোটা দেশ। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে চলছে প্রতিবাদ। দেশের উত্তর-পূর্ব অংশে এই প্রতিবাদ প্রথমে শুরু হলেও পরে তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পরে অন্যত্র। দিল্লিতে চলতি সপ্তাহেই আটক করা হয় বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতাকে। দেশব্যাপী এই আন্দোলনের রেশ গিয়ে পড়েছে রাষ্ট্র সংঘ এবং মার্কিন মুলুকে। কেন্দ্রের সরকারকে আইন পর্যালোচনা করার আবেদন জানিয়েছে তারা।

.