This Article is From Nov 05, 2019

ক্যাফেতে আসা মহিলার মেয়েকে "ভয়ঙ্কর বাচ্চা" বলে উল্লেখ করে বিপাকে কর্তৃপক্ষ, চাইতে হল ক্ষমা

New Zealand: ওই ক্যাফের রসিদে সেখানকার একজন কর্মী ক্যাফেতে আসা এক মহিলার ছোট্ট মেয়েটিকে "ভয়ঙ্কর" বলে উল্লেখ করেন

ক্যাফেতে আসা মহিলার মেয়েকে

Viral on Facebook: নিউজিল্যান্ডের একটি ক্যাফে তাদের রসিদে "ভয়ঙ্কর বাচ্চা" লেখার ফলে বিতর্ক ছড়ায়

এই জন্যে বলে বুঝেশুনে মন্তব্য করা উচিত। এই যে এক ক্যাফে কর্তৃপক্ষ বেঁফাস মন্তব্য করে কী বিপদেই না পড়ল দেখুন একবার। নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) এক মহিলা বলেছেন সম্প্রতি তিনি ওই ক্যাফেতে গিয়ে যথেষ্ট অপমানিত বোধ করেছেন। তাঁর অভিযোগ ক্যাফের তরফ থেকে যে রসিদ (Cafe receipt) দেওয়া হয় তাতে তাঁর সঙ্গে থাকা ২ বছরের কন্যা সন্তানকে "ভয়ঙ্কর" বলে উল্লেখ করা হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তা ভাইরাল (Viral on Facebook) হয়ে যায় ফেসবুকেও। ঘটনার জেরে বিপাকে পড়ে ওই মহিলার কাছে ক্ষমা চেয়ে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছে ক্যাফে কর্তৃপক্ষ।  কিম্বারলে স্যাজে নামে ওই মহিলা জানান ওই ক্যাফেতে খাওয়া দাওয়ার পর তাঁর সন্দেহ হয় যে ক্রাইস্টচার্চের কফি সুপ্রিম তাঁর কাছ থেকে অতিরিক্ত চার্জ নিচ্ছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই  তিনি ক্যাফের কাছে একটি রসিদ চান। কিন্তু সেই রসিদে এমন একটি কথা সেখানকার এক কর্মী লেখেন যে তা দেখেই অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেন নিউজিল্যান্ডের ওই মহিলা। রসিদে ওই ক্যাফে কর্মী তাঁর সঙ্গে থাকা ২ বছরের মেয়েকে "ভয়ঙ্কর বাচ্চা" বলে উল্লেখ করেন।

Weather Update Kolkata: কলকাতায় শীত আসতে আর কত দেরী?

পরে ওই মহিলা গোটা ঘটনার কথা ফেসবুকে শেয়ার করে রসিদের ছবিও আপলোড করেন। ওই রসিদে লেখা মন্তব্যকে যথেষ্ট "অসম্মানজনক" বলে অভিহিত করে তিনি ক্যাফের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করেন যে সেখানে খাবারের জন্য অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হয়েছে।

তিনি লেখেন, "আমাদের টিকিটে 'ভয়ঙ্কর বাচ্চার সঙ্গে পরিবার' লেখা হয় এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের থেকে অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হয় ... চমৎকার" । তিনি আরও অভিযোগ করেন যে তাঁর মেয়ে ক্যাফেতে "শান্ত ও ভদ্রভাবেই ছিল"।

বন্ধুর সঙ্গে ২ হাজার টাকার বাজি ধরে ৪১ টি ডিম খেলেন এই ব্যক্তি, পরিণতি মৃত্যু!

"ও সেখানে কোনও দুষ্টুমি করেনি, কোনও সমস্যা তৈরি করেনি, কোনও কিছুর ক্ষতিও করেনি এবং ক্যাফেতে কর্মীরাই ওকে কী সুন্দর এবং মিষ্টি বলে উল্লেখ করেন", বলেন ওই ভদ্রমহিলা।

তিনি নিজের পোস্টটি শেয়ার করে একথাও বলেন যে তিনি ও তাঁর পরিবার এই ঘটনায় অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে সেখানে বসে খাবার না খেয়েই বেরিয়ে এসেছেন এবং তিনি নিশ্চিত যে এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই ক্যাফে নিশ্চয়ই তাঁদের নিয়মিত কিছু ভোজন রসিকদের হারালেন।

এই ঘটনার পরে, ওই ক্যাফের পক্ষ থেকে মিসেস স্যাজের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয় এবং তাঁকে তাঁর অর্ডার করা খাবারের জন্য নেওয়া পুরো টাকা ফেরতের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। ওই ক্যাফের খাবার ও পানীয় সংক্রান্ত দেখভালকারী টিম নরিসও তাঁর সঙ্গে গিয়ে দেখা করে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চান। পাশাপাশি যে কর্মী ওই রসিদে আপত্তিকর মন্তব্যটি করেন তাঁকে অনির্দিষ্টকালীন ছুটিতে পাঠানো হয়।

মিসেস স্যাজে বলেন যে তিনি ক্যাফের এই পদক্ষেপে খুশি হয়েছেন। ক্ষমা চেয়ে, কফি সুপ্রিমের পক্ষ থেকে ফেসবুকে একটি পোস্টও করা হয়। "আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং এই ঘটনার জন্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইছি" । তাঁরা একথাও লেখেন,এখন থেকে ক্যাফে বাবা-মায়ের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটিতে ক্যাফেতে খেতে আসা ছোট বাচ্চাদের তাঁরা বিনামূল্যে কফি এবং চকোলেট পানীয় সরবরাহ করবে।

এই ঘটনায় আপনার কী মনে হয়? জানাতে পারেন আমাদের মন্তব্য বিভাগে।

Click for more trending news


.