VG Siddhartha CCD Founder: শেষ বারের মতো কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস.এম.কৃষ্ণার জামাতা সিদ্ধার্থকে সোমবার রাতে দক্ষিণ কন্নড় জেলার কোট্টাপুরা এলাকার নেত্রবতীর ব্রিজের কাছে দেখা গেছিল
মঙ্গলুরু/বেঙ্গালুরু: শেষ পর্যন্ত দুই দিন ধরে রহস্য জনক ভাবে উধাও হয়ে যাওয়া ক্যাফে কফি ডে-র (সিসিডি) (Cafe Coffee Day) প্রতিষ্ঠাতা ভিজি সিদ্ধার্থের (vg siddhartha cafe coffee day) মৃতদেহ পাওয়া গেল নেত্রবতী নদীর ধরে। মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে বুধবার সকালে। ভারতের কফি রেস্তোঁরা গুলির সর্ব বৃহৎ চেন 'ক্যাফে কফি ডে'-এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ভিজি (vg siddhartha cafe coffee day) । কর্ণাটকের উপকূলীয় শহর মঙ্গলুরুতে যাওয়ার সময় সোমবার রাতে সিদ্ধার্থ (vg siddhartha cafe coffee day) রাস্তা থেকেই নিখোঁজ হন। একই সঙ্গে তাঁর লেখা একটি চিঠি থেকে জানা গেছে যে, তার ওপর 'ঋণদাতাদের প্রবল চাপ ছিল'। সিদ্ধার্থকে (VG Siddhartha) খুঁজতে, জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ), কোস্টগার্ড, হোম গার্ড, ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এবং উপকূলীয় পুলিশ সেতুর নীচে তল্লাশী চালায়, যেখানে ৬০ বছর বয়সী সিদ্ধার্থকে শেষবারের মতো দেখা যায়। পুলিশ সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুসারে, শেষ বারের মতো কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস.এম.কৃষ্ণার জামাতা সিদ্ধার্থকে সোমবার রাতে দক্ষিণ কন্নড় জেলার কোট্টাপুরা এলাকার নেত্রবতীর ব্রিজের কাছে দেখা গেছিল।
স্থানীয় জেলেরাও তাদের নৌকা নিয়ে অনুসন্ধানেই কাজে যোগ দেয়। সিদ্ধার্থ সোমবার বিকেলে বেঙ্গালুরু থেকে হাসান জেলার স্কলেশপুরে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন কিন্তু হঠাৎ তিনি তার ড্রাইভারকে মঙ্গলুরুতে যেতে বলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি নেত্রবতী নদীর তীরে ব্রিজের কাছে গাড়ি থেকে নেমে যান এবং ড্রাইভারকে বলেছিলেন তিনি একটু হেঁটে আসছেন।
দক্ষিণ কন্নড়-র জেলার প্রশাসক সেন্থিল শশীকান্ত সেন্থিল বলেছেন, "তিনি (সিদ্ধার্থ) ড্রাইভারকে সেখানেই তার জন্য অপেক্ষা করতে বলেছিলেন, কিন্তু দুই ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও তিনি না ফেরায়, তাঁর ড্রাইভার পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে এবং তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। মঙ্গলুরুর পুলিশ কমিশনার সন্দীপ পাটিল জানিয়েছিলেন: “স্থানীয় জেলেদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তিনি ফোনে কাদের সাথে কথা বলেছেন তা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।''
পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে, গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিনিয়র কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার বলেছেন, সিদ্ধার্থের নিখোঁজ হওয়া খুব সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে এবং এই মামলার তদন্ত করা উচিত। তিনি বলেছিলেন, সিদ্ধার্থের লেখা চিঠি হিসাবে দাবি করে, যে চিঠি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করেছে, তা শনিবার অর্থাৎ ২৭ জুলাইয়ের। আর রবিবার তিনি আমাকে ফোন করেছিলেন, জানতে চেয়েছিলেন আমার সাটি দেখা হতে পারে কিনা।'' শিবকুমার টুইট করে বলেছেন, '' তার মতো একজন সাহসী মানুষ এই ধরনের কাজ করবেন, আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।'' তিনি জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি সিদ্ধার্থ ও তার পরিবারের লোকেদের সাথে বেশ ঘনিষ্ঠ ভাবেই মেশেন, তার ওপর ভিত্তি করেই তিনি লিখেছেন, ''সিদ্ধার্থের এই হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়া খুবই আশ্চর্যের বিষয়, মামলার তদন্ত করা উচিত।''
সিদ্ধার্থ সংস্থার কর্মচারী এবং পরিচালনা পর্ষদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠিতে বলেছিলেন, "আমি একজন শিল্পপতি হিসাবে ব্যর্থ।" যদিও চিঠিটা তারই লেখা কিনা, তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছেন না। এই চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, 'আমি নিজের সম্পূর্ণটা দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু যারা আমাকে এতটা বিশ্বাস কলরেট আমি তাদের বিশ্বাস রাখতে পারিনি, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।'' সিদ্ধার্থ বলেছিলেন যে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করেছিলেন তবে, "আজ আমি সাহস হারাচ্ছি কারণ আমি বেসরকারী ইক্যুইটি অংশীদারদের পক্ষে থেকে পুনরায় শেয়ার কেনার চাপ আর সহ্য করতে পাচ্ছি না। এর আগে বন্ধুর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে তিনি আংশিক ভাবে পরিশোধ করতে পেরেছি। '