Read in English
This Article is From Jul 21, 2018

নতুন নিয়মের ভাড়ায় ট্রেনের থেকে বিমান সস্তা -জানাচ্ছে ক্যাগ রিপোর্ট

আগে যেখানে এসি থ্রি টায়ার শ্রেণিতে 0.66% আসন খালি থাকত সেখানে এখন ফাঁকা আসনের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে 4.46%।

Advertisement
নিউস

সময় বাঁচাতে যাত্রীরা ওই ভাড়ায় বিমানেই বেশি যাতাযাত করবেন বলে মনে করছে ক্যাগ

নিউ দিল্লি :

ভারতীয় রেল ফ্লেক্সি-ফেয়ার বা সমন্বয়-ভাড়া প্রক্রিয়া চালু করে আসলে তাদের যাত্রী সংখ্যা কমিয়ে ফেলছে- এমনটাই জানিয়েছে ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ)। এই নিয়মের ফলে রেলের যাত্রীরা ওই ভাড়াতেই বিমানের যাতায়াত করাকেও অনেক লাভজনক মনে করতে পারেন। রেলের এই সিদ্ধান্তের ফলে আসলে দেশের সবথেকে বড় পরিবহন ব্যবস্থা যাত্রীদের থেকে তার আস্থা হারিয়ে ফেলেছে বলেও দাবি করা হয়েছে ক্যাগের রিপোর্টে। মেল ​​এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির উপর আর ভরসা করছেন না নিয়মিত রেলযাত্রীরা।

2017 সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে তার রিপোর্টে  ক্যাগ জানিয়েছে, রাজধানী, শতাব্দী  এবং দুরন্তর প্রিমিয়াম ট্রেনের ফ্লেক্সি-ফেয়ার ব্যবস্থার প্রবর্তনের ফলে এই জাতীয় ট্রেনে যাত্রী উপার্জন বৃদ্ধি পেয়েছে 552 কোটি টাকা। কিন্তু 2015ৃ-16 সালের প্রেক্ষিতে 9 সেপ্টেম্বর 2016 থেকে 31 জুলাই 2017 অব্দি তাঁদের যাত্রী সংখ্যা কমেছে প্রায় 6.75 লক্ষ।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, গতিশীল / বর্ধিত ভাড়া যেখানে চালু করা হচ্ছিল সেই সময় আলাদা করে রাজধানী বা শতাব্দী, দুরন্তর মতো ট্রেনগুলির কথা ভাবা হয়নি। সবচেয়ে লাভজনক ক্লাসগুলির মধ্যে অন্যতম হল এসি থ্রি-টায়ার। কিন্তু ফ্লেক্সি-ফেয়ার ব্যবস্থায় আনার ফলে সেই এসি থ্রি-টায়ার থেকেও পাওয়া লাভের পরিমাণ কমে গিয়েছে। আগে যেখানে এই শ্রেণিতে 0.66% আসন খালি থাকত সেখানে এখন ফাঁকা আসনের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে 4.46%।  

Advertisement

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে এই ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে বর্ধিত ভাড়া এতখানিই বেড়েছে যে বেশ কিছু রুটে তা বিমানে ভাড়ার চেয়েও বেশি। এমনই পরিস্থিতি হলে, সময় বাঁচাতে যাত্রীরা ওই ভাড়ায় বিমানেই বেশি যাতাযাত করবেন বলে মনে করছে ক্যাগ।

বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে টিকেটের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে তার ভাড়াও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ফ্লেক্সি ফেয়ারের ক্ষেত্রে 10% টিকিট বুক হওয়া মাত্রই ভাড়া বাড়তে থাকে।  বিমানে বেশি ভাড়া দিয়ে এক জন যাত্রী যে আরাম পান বা যে আসনটি পান তা যথেষ্ট সুন্দর। ট্রেনের ক্ষেত্রে মোটেও এমন হয়না। তাঁর উপর ওয়েটিং লিস্টের অনিশ্চয়তা। কেনই বা যাত্রীরা ট্রেনের থেকে বিমানেই যাতায়াতে লাভ দেখবেন না সেই প্রশ্নও তুলেছে ক্যাগ।  

Advertisement

16 টি শতাব্দী, 11 টি রাজধানী ট্রেনের 806 যাত্রীদের নিয়ে একটি সমীক্ষা ( 2017 সালের এপ্রিল থেকে মে মাস অব্দি) চালিয় ক্যাগ। প্রশ্ন করা হয়, যে টিকিটের দাম আপনারা দেন, আর যে সময় লাগে যাতায়াতে সেদিক দিয়ে বিচার করে ওই একই দামে কি আপনারা বিমান বা বাসে যাতায়াত কতেই পছন্দ করবেন? 497 জন (62%) যাত্রীই জানান বাস বা বিমানেই তাঁরা বেশি লাভ পান।

ক্যাগ জানিয়েছে, যে জাতীয় পরিবহন ব্যবস্থার উচিৎ এই প্রকল্পটি পর্যালোচনা করা যাতে কেবল মাত্র রাজস্বই নয় বরং যাত্রীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। রেল সূত্রের খবর, রিপোর্টের  উত্তর দেওয়ার জন্য রেলের তরফেএকটি কমিটি ইতিমধ্যে এই প্রকল্পটি পর্যালোচনা করেছে এবং 2018 সালের জানুয়ারিতেই তার রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ক্যাগের সুপারিশগুলি রেলমন্ত্রী বিবেচনা করে দেখছেন বলেও জানানো হয়েছে রেলের তরফে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
Advertisement