জঙ্গলমহলের মানুষদের আন্দোলনে ছত্রধর এক বড় নাম।
কলকাতা: ইউএপিএ ধারায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত ছত্রধর মাহাতোর জামিনের আবেদন শুনল না কলকাতা হাইকোর্ট।বিচারপতি এম মুমতাজ ও জয় সেনগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ছত্রধরের আবেদন এবং জামিনের আবেদন দুটি একই সঙ্গে 25. জুলাই শোনা হবে। হাইকোর্টে ছত্রধরের জামিনের আবেদন করেন কলকাতর প্রবীণ আইনজীবী শেখর বসু। কিন্ত দুই বিচারপতি জানিয়েদেন দুটি আবেদনের শুনানি হবে একই সঙ্গে।
জঙ্গলমহলের মানুষদের আন্দোলনে ছত্রধর এক বড় নাম। বাম আমলের শেষের দিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড়ের কাছে একটি বিস্ফোরণ হয়। তাতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শুরু হয় পুলিশি তল্লাশি। প্রথম থেকেই প্রশাসনের দাবি স্থানীয়দের কাজে লাগিয়ে হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। এমতাবস্থায় মাওবাদীদের নাগাল পেতে স্থানীয় এলাকায় তল্লাশিতে জোর বাড়ায় প্রশাসন। স্থানীয় মানুষরা বলতে থাকেন তল্লাশির নাম পুলিশ অত্যাচার চালাচ্ছে। ঘটে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা। তৈরি হয় পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটি। তারই নেতা নির্বাচিত হন ছত্রধর। জঙ্গলমহলের নানা প্রান্তে আন্দোলন তীব্র আকার ধারন করে। আন্দোলনের রেশ এসে পড়ে কলকাতায়। এমনিতেই নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে সিঙ্গুরের ঘটনায় চাপে থাকা বাম সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়ে।
জঙ্গলের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে ছত্রধরকে গ্রেফতার করা হয়। মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় অনলফুল অ্যাকটিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট বা ইউএপিএ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে রুজু হয় মামলা। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার শেষে 2015 সালে মেদিনীপুরের আদালত ছত্রধরকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়। ওই একই ধারায় দীর্ঘ দিন জেল খাটেন মাওবাদীদের মুখপাত্র বলে পড়িচিত গৌর চক্রবর্তী। কয়েকদিন আগে তাঁর সাজা মকুব করে হাইকোর্ট। এবার আবেদন করলেন ছত্রধর। কিন্ত তিনিও মুক্ত হবেন কিনা তা জানতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)