হাওড়া জেলা আদালতে আইনজীবী এবং পুরসভার কর্মচারীদের সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ঘটনাটি নিয়ে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল সেটিকে পুরোমাত্রায় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণন জানান, এই মামলাটি আগামী সোমবার তাঁর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনবে। শুধু তাই নয়, এই গোটা সংঘর্যের ঘটনাটি কীভাবে ঘটল এবং তাতে দু'পক্ষেরই কী কী ভূমিকা ছিল, তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে মহামান্য আদালত। প্রসঙ্গত, এই সংঘর্ষের ঘটনায় ওইদিন একাধিক আইনজীবী সহ বহু সাধারণ মানুষও জখম হন। গত বুধবার গাড়ি রাখা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তারপরই হাওড়া জেলা আদালতের আইনজীবী এবং হাওড়া পুরসভা (যা হাওড়া জেলা আদালতের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত)-র কর্মচারীদের মধ্যে লেগে যায় ভয়াবহ গোলমাল।
সমাবেশ থেকে ফেরার পথে বাস দুর্ঘটনা, আহত ৩৬ তৃণমূল কর্মী
অন্যদিকে, হাওড়ার জেলা আদালতের উকিলদের ওপর আক্রমণের যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রতিবাদের রাজ্যের বার কাউন্সিল এর পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সমস্ত আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে আবেদন করা হয় যাতে তারা সকলে শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আদালত সংক্রান্ত সমস্ত কাজ স্থগিত রাখেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিও এই ঘটনাটি নিয়ে একটি রিপোর্ট চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, হাওড়ার আদালতের এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের আইনজীবীরাও কাজে যোগ দেননি। বুধবার হাওড়া পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে আইনজীবীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষিপ্ত বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেবও দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রবলভাবে সরব হয়েছেন।
Majerhat bridge collapse: হাওড়া ব্রিজে বিজেপির বিক্ষোভ
তাঁর কথায়, “আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত বার অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের কাজ স্থগিত রাখার ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়েছি আমরা”। তিনি আরও বলেন, সোমবার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে।
বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যও এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হন। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণন জানিয়েছিলেন, এই ঘটনা সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট অবিলম্বে পেশ করতে হবে তাঁর কাছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)