হাইলাইটস
- হাইকোর্টের রায়ে স্বাস্তিতে কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমার
- আগামী ২৮শে অগস্ট পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না সিআইডির এডিজিকে
- আগামী ২৭শে অগস্ট ফের রাজীব মামলার শুনানি হবে।
কলকাতা: হাইকোর্টের (Kolkata HC) রায়ে স্বাস্তিতে কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল রাজীব কুমার (Rajeev Kumar)। আগামী ২৮শে অগস্ট পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না সিআইডির এডিজিকে (ADG-CID)। সারদা চিটফান্ড মামলায় অভিযুক্ত আইপিএস রাজীব কুমার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মধুমন্তী মিত্র রাজীব কুমারের গ্রেফতারির উপর এদিন অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন। রাজীব কুমারের আবেদনের বিরোধীতা করে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পক্ষ আদালতে সওয়াল করেন সিবিাইয়ের (CBI) আইনজীবী। কিন্তু তা নাকচ করেই বিচারপতি নির্দেশ দেন আগামী ২৭শে অগস্ট ফের এই মামলার শুনানি হবে। চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগ তুলে সিবিআই যে নোটিস দিয়েছে সে বিষয়ে গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টে তা খারিজের আবেদন করেন রাজীব কুমার।
সারদা চিটফান্ড মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। যদিও এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে গত ফেব্রুয়ারিতে শিলংয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তিনি ছুটিতে আছেন এই দোহাই দিয়ে বারবার সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা এড়িয়ে গেছেন রাজীব কুমার। এর ফলে বাধ্য হয়েই সিবিআইকে তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করতে হয়। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে বলা হয় এবং কলকাতা না ছাড়ার ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
সল্টলেকে সিবিআই দফতরে যেতে বাধা নেই রাজীব কুমারের, নির্দেশ হাইকোর্টের
সারদা তদন্তে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলটির নেতৃত্বে ছিলেন রাজীব কুমার। ওই সারদা চিট ফান্ডে টাকা রেখে রাজ্যের বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হন।সিবিআই অভিযোগ তোলে এই তদন্তের বহু তথ্য প্রমাণ নষ্ট করেছেন রাজীব।
রাজীব কুমারের আইনজীবীকে সিবিআইয়ের অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজীব কুমারকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফ থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যদিও পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে তাঁকে ওই পদ থেকে অপসারণ করা হয়। ভোটের পরে ফের রাজীব কুমারকে বাংলায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।