সব্যসাচী দত্তের(Sabyasachi Dutta) দাবি, বিশেষ বৈঠকের জন্য তাঁকে যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তা বেআইনি।
কলকাতা: বিধানগর পুরনিগমের (Bidhannagar Municipal Corporation) মেয়র সব্যসাচী দত্তকে(Sabyasachi Dutta) পদচ্যূত করতে চেয়ে, নোটিশ পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। পুরনিগমের চেয়রপার্সনকে ওই হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানিতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। বিধানগর পুরনিগমের(Bidhannagar Municipal Corporation) মেয়র তথা রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তকে নোটিশ পাঠান পুর কমিশনার, সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সব্যসাচী দত্তের(Sabyasachi Dutta) দাবি, বিশেষ বৈঠকের জন্য তাঁকে যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তা বেআইনি। সেই কারণে নোটিশটি খারিজ করার আবেদন জানান সব্যসাচী দত্ত।
কলকাতায় অবৈধভাবে বোজানো হচ্ছে জলাধার, শীঘ্রই জলসঙ্কট দেখা দেবে, মন্তব্য হাইকোর্টের
সব্যসাচীর দত্তের (Sabyasachi Dutta) হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আদালতে তিনি যুক্তি দেন, ২০০৬ পশ্চিমবঙ্গ পুরনিগম আইনানুসারে, একজন কমিশনার পুরনিগমের বৈঠক ডাকতে পারেন, তবে বোর্ড মিটিং ডাকতে হবে চেয়ারপার্সনকে। ৯ জুলাই মেয়র সব্যসাচী দত্তকে পাঠানো নোটিশে, চেয়ারপার্সনের নির্দেশে ১৮ জুলাই পুরনিগমের বোর্ড অফ কাউন্সিলরের বৈঠক ডাকেন কমিশনার।
এদিকে, বিধাননগর পুরনিগমের(Bidhannagar Municipal Corporation) চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর আইনজীবী ডি সাহা রায় যুক্তি দেন, মেয়রকে পদচ্যূত করতে যে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তা আইন মেনেই করা হয়েছে। মামলায় তাঁদের পক্ষ করার আবেদন জানিয়ে, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কাউন্সিলরদের একটি অংশও। কাউন্সিলরদের দাবি, মেয়র সব্যসাচী দত্তকে (Sabyasachi Dutta) অপসারিত করতে তাঁরাই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন।
অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সব্যসাচী দত্ত
তাঁরা দাবি করেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই, নোটিশ পাঠানো হয়। বুধবার আদালতে তাঁদের আইনজীবীকে এর জন্য আবেদন করতে বলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।
বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর পর থেকেই সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের সম্পর্কের উষ্ণতা কমতে থাকে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় বিধাননগরের মেয়র দাবি করেন, নিজেদের ব্যক্তিগত ইগো পূরণ করতেই, তাঁকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে সব্যসাচী দত্তের(Sabyasachi Dutta) বাড়িতে গিয়ে লুচি-মাংস খেয়েছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। যদিও তা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে মন্তব্য করেন দুজনেই। মুকুল রায়কে নিজের দাদার মতো বলে মন্তব্য করেন সব্যসাচী দত্ত।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)